একুশের নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সি আর পেগাসাস দিয়ে এখনও সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই টার্গেট করে রেখেছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের শেষেই গোয়া রওনা হন অভিষেক। সেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন। বারবার তিনি গোয়া যাচ্ছেন সে রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে। তাই পেগাসাস দিয়ে অভিষেকের ফোনে আড়ি পাতার পর তাঁকে রুখতে এবার এজেন্সি দিয়ে বিজেপি টার্গেট করছে বলে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, “কিছু বলতে গেলেই দুর্বিসহ নাভিশ্বাস পেগাসাস। অভিষেক, পিকে সবার ফোন ট্যাপ করে রেখেছিল। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই এটার বিচার হোক।” এই অভিযোগ তিনি গত বছর একুশ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকেও তুলেছিলেন। এজেন্সি দিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর বন্ধুদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “অভিষেক গোয়ার ভোট করছে। ওর ব্যক্তিগত সচিব, আইনজীবী, ওর প্লেনের যে টিকিট কাটে সেই ট্রাভেলার, ওর স্কুলের যত বন্ধু আছে সবার বাড়িতে নোটিস পাঠিয়েছে। এর মানে কী? আমরা কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারব না। হাতের সামনে যত বন্ধু আছে সব ডানাগুলো কেটে দাও।”
একুশের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি সভামঞ্চ থেকে বিজেপি বারবার অভিষেককে টার্গেট করে বক্তৃতা দিয়েছে। একের পর এক নোটিস পাঠিয়েছে। তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে দিল্লির জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক বলেছিলেন কারও কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। এ নিয়ে বারবার নিজের দলীয় প্রচারসভা থেকেও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা সবার সামনে এনে দেখানো হোক।
এমনকী ত্রিপুরায় অভিষেকের সভাও বারবার বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মমতাও সরব হয়েছেন। এবার দলের সাংগঠনিক নির্বাচন থেকে ফের সরব হলেন। কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ওনারা সবার ডানা কেটে দেবে। আর নিজেরা ভারতবর্ষটাকে শীতঘুমে পাঠিয়ে কুয়াশার চাদর গায়ে দিয়ে স্বজনপোষণ করবে আর দেশটাকে বেচে দেবে। আমরা চুপচাপ থাকব? এটা হতে পারে না।” এরপরই মমতার চ্যালেঞ্জ, এর বিরুদ্ধেও লড়াই হবে। তাঁর কথায়, “আমরা লড়াইয়ের জন্য তৈরি। বিজেপিকে সরাতে তৈরি।”
Be the first to comment