সেরা নন ফিকশন অ্যাঙ্কার অ্যাওয়ার্ড পেলেন সৌরভ, টেলি অ্যাকাডেমি কমপ্লেক্সের শুভ উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

২০১২ সালে যে টেলি আকাদেমি গড়ে ওঠার কথা ঘোষণা করা হয়, বৃহস্পতিবার তার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২২’-এর পুরস্কার বিতরণী অনু্ষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। গুনগুন, ফুলঝুরি, ঋষি, পিহু, বাবিন, লালন, ঊর্মি, সাত্যকি। নেতাজি ইন্ডোরে যেন চাঁদের হাট ৷ তবে এদিন সব পেশাদার অ্যাঙ্কারদের পিছনে ফেলে বাংলার সেরা অ্যাঙ্কার নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি। জি বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দাদাগিরির জন্য বেস্ট নন ফিকশন অ্যাঙ্কর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলার মহারাজ।

সেরা জুটির পুরস্কার পেলেন ‘মন ফাগুন’ ধারাবাহিকের ঋষি এবং পিহু। ২০২২-এর সেরা টেলিভিশন কনটেন্ট গবেষক হিসেবে পুরস্কৃত হলেন শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরস্কৃত হলেন শান্তি গোপাল মুখোপাধ্যায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা, শঙ্কর চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে। তবে শুধু পুরস্কার বিতরণই নয়, ছিল নাচ-গানের জমজমাট আয়োজনও। হাজির ছিলেন রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী-সহ টলিউডের তাবড় তাবড় কুশীলবেরা। সঞ্চালনায় ছিলেন সাহেব চট্টোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রাণী হালদার।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এখনকার অভিনেতারা খুব প্রতিভাবান। করোনার কারণে যখন মানুষ একেবারে ঘরবন্দি, তখন এই টেলিভিশনই মানুষকে বেঁচে থাকার রসদ জুগিয়েছে। একদিন টিভি বন্ধ থাকলে মানুষের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়। বাড়ির মহিলারা তাড়াতাড়ি হাতের কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যা হতেই বসে পড়েন টিভির সামনে। আমিও রাতে সিরিয়াল দেখি। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বারুইপুরে নবনির্মিত ‘পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি’র চারটি স্টুডিও ফ্লোর-সহ প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৩২.৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বারুইপুরের টংতলায় ১০ একর জমির উপরে এই টেলি আকাদেমি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। পূর্ব ভারতে এটিই প্রথম স্টুডিও যা সম্পূর্ণভাবে সরকারি খরচে চালিত হবে। চারটি অত্যাধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত স্টুডিও ছাড়াও এতে থাকছে ৫০ হাজার বর্গফুটের আকাদেমি ব্লক এবং ৪০ হাজার বর্গফুটের হস্টেল।

প্রসঙ্গত, বাংলা টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সম্মান জানাতে, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডস। ২০১২ সালে প্রথম গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*