তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার মুখে প্রার্থী হতে নিমরাজি বাঁকুড়ার তালডাংরার বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে বিধায়ক লিখেছেন, ‘আমি দলনেত্রীকে জানিয়েছি আমি দলের হয়ে প্রচার করব, প্রার্থী হতে চাই না।’ প্রার্থীতালিকা ঘোষণার মুখে তৃণমূল বিধায়কের এ হেন বার্তা ঘিরে জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে।
উল্লেখ্য, ছাত্র পরিষদ থেকে রাজনীতি শুরু সমীরের। ২০১২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হন তিনি।
শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হতে পারে তুমুল জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে। গত সোমবার দলের নির্বাচন কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, অশীতিপর কোনও নেতাকে এ বার প্রার্থী তালিকায় রাখা হবে না। অস্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং জনসংযোগের অভাব রয়েছে, এমন নেতাদেরও শিকে না-ছেঁড়ারই সম্ভাবনা। নিচুতলা থেকে উপুর্যপরি রিপোর্ট নিয়ে এবং সমীক্ষা চালিয়েই বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা করেছে তৃণমূল। মমতা একলপ্তে ২৯৪ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করবেন নাকি কয়েক দফায় প্রার্থী ঘোষণা করবেন, এ নিয়েও জল্পনা চলছে।
দলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, যাঁদের ৮০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে, তাঁদের এই নির্বাচনে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
কালীঘাটে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। এই কমিটিতে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়ের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। বৈঠকে ২৯৪ আসনের খসড়া প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই খসড়া তালিকা থেকেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা স্থির করবেন তৃণমূল হাইকম্যান্ড। তৃণমূলের এই মাপকাঠিতে একাধিক অশীতিপর বিধায়ক এ বার আর প্রার্থী না-হতেও পারেন। কারণ, দলের বেশ কয়েক জন বিধায়ক রয়েছেন, যাঁদের বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে। শারীরিক কারণেই ইতিমধ্যে রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চান না বলে তৃণমূল নেত্রীকে জানিয়েছেন। এই জায়গায় নবীন মুখ আনতে চাইছে তৃণমূল।
Be the first to comment