ভিডিও সৌজন্যে- অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস
২১শে জুলাই, ‘শহীদ দিবস’-এর, মেগা ভার্চুয়াল সভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখুন লাইভ!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যঃ
ধর্মতলায় সভা করতে না পারার জন্য ব্যথিত।
২১শে জয়লাভের পর ঐতিহাসিক সভা হবে।
বুথে বুথে পালিত হচ্ছে ২১শে জুলাই।
শহিদ পরিবারকে সম্মান জানাই।
শহিদ তর্পণ করি।
২১ জুলাই সিপিআইএমের হাতে মারা গিয়েছেন বহু সহকর্মী। বিজেপির হাতে নিহত শহিদ সকলকে শ্রদ্ধা জানাই।
সারা দেশজুড়ে যে তান্ডব হচ্ছে সেই সমস্ত শহীদদের সম্মান জানাই।
ভারত-চিন বর্ডারের মৃতদের স্যালুট জানাই।
করোনার মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আমার প্রিয় তমোনাশ ঘোষ মারা গিয়েছেন।
মারা গিয়েছেন অবনী জোয়ারদার, অনিল অধিকারীর মতো নেতারাও।
পুলিশের কোভিড যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা। দেবদত্তা সহ ডাক্তার সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষদের শ্রদ্ধা জানাই।
আম্ফানের মৃতদের শ্রদ্ধা জানাই।
রেশন বিলি নিয়ে সিপিআইএম, কংগ্রেস, বিজেপি অপপ্রচার করছে।
কোথাও দু একটা ব্যতিক্রম হলেও আমরা সব মানুষকে রেশন দিচ্ছি।
সারাজীবন আমি অবহেলিত, শোষিত, নিপীড়িত মানুষদের পক্ষে।
সারাজীবন বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে।
বহিরাগতরা বাংলা ছাড়বে না। বিজেপির লোকেরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কখনও বলছে এনকাউন্টার করে দেবো, কখনও বলছে জ্বালিয়ে দেবো।
আমি বলি জন্মটা কোথায়?
তৃণমূলকে দুর্বল ভাববেন না।
ছিটমহল আমরা উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে দিয়েছি।
কখনও উদবাস্তু, কামতাপুরী, রাজবংশীদের মধ্যে গণ্ডগোল লাগিয়ে দিচ্ছে।
এরা প্রত্যেকেই আমার শরীরের অংশ।
প্রধানমন্ত্রী এলেন, ১০০০ হাজার কোটি টাকা দিলেন, আমরাও তো আম্ফানে ৬৫০০ কোটি টাকা দিয়েছি।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প ও শস্য বীমা প্রকল্প বিনা পয়সায় দিই।
আইন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলেছে ট্রাইবালদের জমি কেঁড়ে নেওয়া যাবে না।
মাটি শক্তি প্রকল্প, বাংলার আবাস প্রকল্প সব করা হয়েছে।
কোভিড আমাদের গ্রাস করেছে, একথা সত্যি।
প্রায় ১০ কোটি মানুষ বাংলায় আছে।
টেস্ট বেশি হচ্ছে বাংলায়, তাই কোভিডের সংখ্যা বেড়েছে।
কোভিডে মৃত্যু হার ২.৫৬, এটা আমরা দ্রুত কমিয়ে ফেলবো।
এখনও পর্যন্ত যা রোগী আছে তাদের মধ্যে ৫ শতাংশ সিরিয়াস।
উন্নয়নের কথা কেউ বলছে না।
সারাক্ষণ সর্বনাশের কথা।
লোকসভায় কয়েকটা আসন পেয়ে কী না কী ভাবছে।
কখনও বলছে হিংসা করো।
আয়নায় নিজেদের মুখ দেখো।
উত্তরপ্রদেশে দেখুন জঙ্গলরাজ চলছে।
মুখ খোলার উপায় নেই।
পুলিশকে এনকাউন্টার করছে।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা যান দেখুন কী অবস্থা।
অসমে এনআরসির নামে কী করেছে দেখুন।
রেল, এয়ার ইন্ডিয়াকেও বিক্রি করে দিয়েছে।
কোভিডের নাম করে ডিএ, মাইনে সব বন্ধ করে দিয়েছে। মাইনে কাটছে।
একমাত্র বাংলায় আমরা কোভিডের মোকাবিলা করেও আমরা কোনও মাইনে কাটিনি।
৮ বছরে বাংলা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
কৃষিতে সবার উপরে বাংলা।
স্বাস্থ্যে, ক্ষুদ্র শিল্পতে সবার উপরে বাংলা।
শিশু মৃত্যুর হার কমেছে বাংলায়।
মায়েদের শিশু জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুর হার ক্মেছে।
ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি ৯৪ শতাংশ বেড়েছে।
৪৬ লক্ষ মানুষকে কৃষকবন্ধু দিয়েছি।
আশার বোনেদের ৮০০ থেকে ৩০০০ আরও বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
পে কমিশনে মাইনে তো বেড়েছে।
বাংলায় বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী তপশীলিদের আমরা প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য করেছি।
শুধুই কুৎসা করবেন, শুধুই মিথ্যা বলবেন?
চা বিক্রেতা, বিড়ি শ্রমিকদের আগে নিজেদের টাকা দিতে হতো। তারপর সরকার দিতো।
এখন আমরা পুরোটাই দি। পেনশনও দি।
কেন্দ্র টাকা দেয় নি। শুধু বঞ্ছনা, লাঞ্ছনা করেছে।
আমিও একটা মানুষ, সিপিআইএমের মার খেতে খেতে এগিয়েছি।
বিজেপির লাঞ্ছনা, বঞ্ছনা, গঞ্জনা সহ্য করবো না।
সিপিআইএমকে যদি সরাতে পারি, বিজেপি তো তুচ্ছ।
এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।
২০১৯ এ কটা আসন পেয়ে লাফালাফি শুরু করেছে।
কোনোদিন যদি বিজেপি ভুল করে বিশ্বাস করেন, তাহলে জীবিকাও যাবে। জীবনও যাবে।
আজ মানুষের মর্যাদা বেড়েছে।
জঙ্গলমহল, পাহাড়ে শান্তি নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভিসিদের গায়ে একবার হাত দিয়ে দেখুন।
কিছু তরুণ ছাত্র-ছাত্রী চাই,যাদের আমি তৈরি করে দিয়ে যাবো।
২১ জুলাই দিচ্ছে ডাক, বিজেপি বাংলা থেকে বিদায় যাক।
২১শে মে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করে তৃণমূলকে জয়ী করুন।
২১ জুলাই একুশ পথ দেখাবে ভারতবর্ষকে।
সেই নেতা হয় যে সবাইকে নিয়ে চলে।
এজেন্সি দিয়ে দেশ চালালে নেতা হওয়া যায় না।
বাংলাই জনগণের বিশ্বাস, ভরসা।
একুশে তৃণমূল কংগ্রেসই সরকার করবে।
কোভিডে সাবধানে থাকবেন।
সব উৎসব আমরা ভালো করে করতে পারছি না।
৫০ লক্ষের বেশি মানুষকে আমি এই সভার মধ্য দিয়ে টাচ করতে পেরেছি।
মানুষকে বিনা পয়সায় সাহায্য করুন।
কিছু চ্যানেলকে টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সরকার যে ভালো কাজ করছে সেগুলো ওই নিউজ চ্যানেল দেখাবে না।
বিয়েতেও ২৫ হাজার টাকা আমরা দি।
কন্যাশ্রী ১,২,৩ সব টাকা আমরা দি।
কর্মসংস্থান ঢেলে সাজানোর সব সুযোগ নষ্ট করে দিলো কোভিড ও আম্ফান।
স্বপ্ন দেখতে শিখুন, স্বপ্ন দেখতে জানতে হয়।
স্বপ্নের ভোর নিয়ে আসুন।
সব ভাইবোনরা আমার যেন ভালো থাকে।
পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র সব ভাইবনেরা যেন আমার শান্তিতে থাকে।
মাত্র কয়েকটি আসন পেয়ে যা লাফালাফি শুরু করেছে, এবার তার উত্তর দেওয়ার সময় এসে গেছে।
আস্থা রখুন রবীন্দ্র, নজরুলে। আস্থা রাখুন বিবেকানন্দে, রামকৃষ্ণে।
এই মাটি আপনার মাটি, আমার মাটি।
এই মাটিকে ভালো রাখতে হবে।
দেউচাপাচামির প্রজেক্ট আমরা তৈরি করছি, মানুষের আগামিদিনে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
আমাদের প্রতিজ্ঞা যতদিন না পূরণ হচ্ছে, লড়াই চলবে।
আমরা তোমাদের নীতি, আদর্শকে বিশ্বাস করি না।
সরি তোমরা দেশকে শেষ করে দিয়েছ।
অধিকার কেঁড়ে নিতে হবে, ছিনিয়ে নিতে হবে।
আমরা জয় ছিনিয়ে দেখিয়ে দেবো তৃণমূল কংগ্রেসই পারে বাংলাই পারে।
তৃণমূলে শাসন করার লোক আছে, শোষণ করার লোক নেই।
সবাই তৃণমূলে চলে আসুন, বিজেপিকে একটাও ভোট নয়।
ভাঙো কুৎসাকারীদের।
এই সমাবেশ আমি বুথে বুথে পৌঁছে দিতে পেরেছি।
মা, ভাই-বোনেরা সুস্থ থাকুন।
সমস্ত চ্যানেলকে কভারেজের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আসুন সবাই একসাথে কাজ করি।
Be the first to comment