পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলা করতে চায় তৃণমূল সরকার৷ রাজ্য বিধানসভায় নাম বদলের প্রস্তাব পাশ করে অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে অনেক আগেই৷ রাজ্য সরকারের পাঠানো প্রস্তাব যে কেন্দ্রের কাছে পৌঁছেছে তা স্বীকার করে নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই৷ মঙ্গলবার লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের প্রস্তাব তাদের কাছে পৌঁছেছে৷
বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় সেই প্রস্তাব মন্ত্রক পেয়েছে৷ একই সঙ্গে গত পাঁচ বছরে সরকার এলাহাবাদ-সহ সাতটি শহরের নাম বদলের পক্ষে সায় দিয়েছে বলেও জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই অভিযোগ করেন, কয়েকবছর আগেই বিধানসভায় নাম বদলের প্রস্তাব পাশ করে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ একবার সেই প্রস্তাব ফেরতও পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু এত সবের পরেও নাম বদলের ব্যাপারে কেন্দ্র ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি৷
এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সাইদা আহমেদ কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের কতগুলি শহরের নাম পরিবর্তনে অনুমোদন দিয়েছে? হেরিটেজ জায়গাগুলির নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নতুন কোনও গাইডলাইন আনা হয়েছে কি না৷ লিখিত জবাবে নিত্যানন্দ রাই জানান, গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র সাতটি শহরের নাম বদলের ছাড়পত্র দিয়েছে৷ রীতিমতো তারিখ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে প্রয়াগরাজ রাখে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেওয়া হয়৷
রাজামুন্দ্রাই শহরের নাম রাজামহেন্দ্রবরম রাখার জন্য ২০১৭ সালের ৩ অগাস্ট অন্ধ্র সরকারকে এনওসি দেওয়া হয়৷ নগর উনতারির নাম বদলে বংশীধর নগর রাখায় ঝাড়খণ্ড সরকার ২০১৮ সালের অগস্টে কেন্দ্রের এনওসি পায়৷ মধ্যপ্রদেশের তিনটি শহর বীরশিঙ্গপুর পালি, হোশাঙ্গাবাদ নগর, বাবাই শহরের নাম পরিবর্তনের পর রাখা হয় যথাক্রমে মা বীরাসিনি ধাম (২০১৮), নর্মদাপুরম (২০২১) এবং মাখননগর (২০২১)৷ পঞ্জাবের শ্রী হরগোবিন্দপুর শহর বদলে শ্রী হরগোবিন্দপুর সাহিবের নাম রাখার জন্য ২০২২ সালের মার্চে অনুমোদন দেওয়া হয়৷’ এরপরই তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলা রাখার প্রস্তাবও সরকার পেয়েছে৷ তবে হেরিটেজ জায়গাগুলির নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনও গাইডলাইন আনা হয়নি৷
Be the first to comment