কাঁথির সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ‘দিদি’কে নিশানা করে বলছেন, ‘বাংলায় বোমাবাজির সরকার চলছে, অসমকে দেখুন, আমরা উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছি সেখানে’, ঠিক তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের সভামঞ্চ থেকে ‘দেশের এক নম্বর মিথ্যাবাদী’ বলে মোদীর উদ্দেশে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটাকে সম্মান করতাম, এখনও করি। কিন্তু এখন যিনি প্রধানমন্ত্রী, সেই নরেন্দ্র মোদী মিথ্যে ছাড়া আর কিছু বলতেই পারেন না। মোদীর মতো এত বড় একটা মিথ্যেবাদী আমি জীবনে দেখিনি।’
এদিনই কাঁথির সভামঞ্চ থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়ন নিয়ে সওয়াল করে বাংলায় ‘আসল’ পরিবর্তন নিয়ে সওয়াল করেছেন মোদী। বাঁকুড়া থেকে তারও জবাব দিয়েছেন মমতা। প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এখন ভোট এসছে বলে সপ্তম পে কমিশনের কথা বলে বেড়াচ্ছে বিজেপি নেতারা। এদিকে ত্রিপুরায় প্রভিডেন্ট ফান্ড তুলে দিয়েছে। অসমে এনআরসি-র নামে কী হয়েছে, দেখেছেন তো? মিথ্যেবাদীর দল বিজেপি’।
পাশাপাশি মমতার মুখে এদিন ফের উঠে এসেছে নোটবন্দির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, একটার পর একটা সরকারি সংস্থার বেচে দিচ্ছে। ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হচ্ছে। ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন তো আপনারা? নোটবন্দির মতো করে এরা ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিলে কিন্তু টাকা চলে যাবে আপনার।’
তবে, এবারের ভোটে তিনিই যে একমাত্র তৃণমূলের মুখ, এদিনও তার উল্লেখ করতে ছাড়েননি মমতা। বলেন, ‘বাংলার ২৯১ টা সিটে আমাকেই ভোট দেবেন। তবেই তো আপনাদের বিনামূল্যে চাল দিতে পারব। চাই তো বিনামূল্যে চাল? আমরা বিনামূল্য়ে চাল দিই, আর বিজেপি ৯০০ টাকার গ্যাস দেয়। আমাকে চাইলে জোড়া ফুলে ভোট দিন। আমিই সব জায়গায় প্রার্থী।’
এছাড়া বিজেপি যে এরাজ্যে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইবে, তা প্রতিটা সভাতেই নিয়ম করে বলছেন মমতা। অন্যথা হয়নি এদিনও। বলেন, ‘ওরা কিন্তু ভোটের আগেই টাকা দিতে চাইবে। টাকা দিলে নেবেন কি নেবেন না আপনার ব্যাপার। ওটা আপনার টাকা। তবে টাকা নিলেও ভোট দেবেন না। ওরা কিন্তু আপনাকে বলবে, কোথায় ভোট দিচ্ছিস, দেখতে পাব। এসব কিন্তু পুরো মিথ্যে কথা। কিচ্ছু দেখতে পাবে না। তাই যদি বলে খরচ দিচ্ছি। ওদের খরচ করে দেবেন। কিন্তু ভোটটা দেবেন জোড়া ফুলেই।’
Be the first to comment