যে পার্টি সবচেয়ে নির্ভীক, সৎ, সেই পার্টির সদস্যদের গায়েই হাতে দিয়েছেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

‘অনেক ঝুঁকি নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেছি।’ শুক্রবার ভবানীপুর উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি নন্দীগ্রামের নির্বাচন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এজেন্সি আর অস্ত্র নিয়ে নন্দীগ্রামে ভোট প্রভাবিত করেছে বিজেপি। কিন্তু, এরা জানে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও কাছে মাথা নত করে না।’

পাশাপাশি মমতার অভিযোগ, নন্দীগ্রামে একাধিক বুথে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে। যত ভোট পড়েছিল, তা কমিয়ে-বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এদিন ভবানীপুরের জনসভা থেকে মমতা বলেন, সিপিআইএম ৩৪ বছর রাজ্য চালিয়েছে। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে একটা সিবিআই-ইডি হয়েছে? কংগ্রেসের চিদম্বরমজিকে পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, আমাদের পার্টির সবাইকে কেস দিয়েছে। কাউকে বাদ দেয়নি। কারণ আমরা হার মানিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে পার্টি সবচেয়ে নির্ভীক, সৎ, সেই পার্টির সদস্যদের গায়েই হাতে দিয়েছে। এমনকী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়ের মতো মানুষকেও বাদ দিচ্ছে না।’

পাশাপাশি এদিন ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেগাসাস ইস্যুতে সুর চড়ান। তিনি বলেন, ‘পেগাসাস ডেঞ্জারাস!’ কালীঘাটের বাড়িতে পিকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠকের কথা তুলে এদিন ফের একবার মমতা বলেন, ‘আমি অভিষেক-পিকে কালীঘাটের অফিসে বসে কথা বলছি। সেটাও বিজেপি ফোনে দেখছে। সব পেগ্যাসাস। ফোন বন্ধ করে রাখলেও ক্যামেরা কিন্তু চালু থাকছে। সবার ফোনে পেগ্যাসাস ঢুকিয়ে দিয়েছে।’

এদিন মমতা বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু কাল আমি যখন নবান্নে ছিলাম, তখন একজন রোগে ভুগে মৃতের দেহ নিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করে নিয়ে যাবে। কত বড় ক্ষমতা বুঝুন!’ অসমে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ নিয়েও এদিন বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অসমে কাল কী হল দেখুন। মৃতদেহের উপরে গিয়ে লাফাচ্ছে। এটা কোন মানবিকতা। তার পরেও বাংলার মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে! আমাদের ভয়ে ত্রিপুরাতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আর এদিকে অসমে কী হচ্ছে দেখুন।’

বাংলায় ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ মানুষের টিকার ডোজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৪ কোটি টিকা দরকার। কারণ শিশুদেরও দিতে হবে। আগে আমরা নিজেরা কিনতে পারতাম। কিন্তু, এখন কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। তৃতীয় ঢেউ এলে আমরা মোকাবিলা করার জন্য তৈরি।’

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার আগামী টার্গেট হল বাংলাকে বাণিজ্যিক ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তোলা। গতবছর করোনার জন্য গ্লোবাল বিজনেস সামিট করা সম্ভব হয়নি। এবছর কোভিড বিধি মেনে তা হবে। অনেক শিল্পপতি এখানে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছেন। আগামীদিনে ভারতের মধ্যে বাংলাই হয়ে উঠবে সেরা বাণিজ্যিক ডেস্টিনেশন।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*