ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরই দলের তরফে ঘোষণা করা হল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। শনিবার সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ‘ভবানীপুরে আমাদের দলীয় প্রার্থীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ কেবলমাত্র ঘোষণাটুকুর অপেক্ষা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দলের কর্মী-সমর্থকরা। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়াতে ইতিমধ্যেই তাঁর নামে ব্যানার-পোস্টার লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার রেকর্ড মার্জিনে জিতবেন বলে জানিয়ে দেন তারা।
এদিকে, উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের গড় ভবানীপুর কেন্দ্র এবার ছেড়ে দেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে।
নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজয় হয় মমতার। এদিকে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল ফিরতেই ফের তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে তাঁকে আগামী ছ’মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে যেতে হবে বিধানসভায়। আর নিজের গড় ভবানীপুর ছাড়া সেই কেন্দ্র আর কোনটিই বা হতে পারে। ফলে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় ঘাসফুল সমর্থকদের।
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের প্রতীকে লড়াই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে কে হবেন বিজেপি প্রার্থী? এই নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকেই এই ‘হাই ভোল্টেজ’ কেন্দ্রের প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। কী ইঙ্গিত দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিটি। আমরা কিছু নাম দিল্লিতে পাঠাব।’ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন রুদ্রনীল। সে ক্ষেত্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী তালিকা নিয়ে যখন চর্চা হবে, তখন তাঁর নামও নিশ্চয়ই থাকবে।’
৩০ সেপ্টেম্বরই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোট গণনা হবে ৩ অক্টোবর। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর। ১৬ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শুধু ভবানীপুর নয়, এই দিনই ভোট জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জেও। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তিনি বিধানসভার স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের ইচ্ছা এবং দলের নির্দেশ মোতাবেক তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
Be the first to comment