বাংলা নৌকার মতো, জমা জল নামতে সময় লাগেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

খড়দহে এক পরিবারের তিন সদস্য, দমদমে দুই ছাত্রী এবং তারপর আগরপাড়ায় আরও দুই প্রৌঢ়। একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। শুক্রবার মালদায় তিনজন, টিটাগড়ে একজন এবং মহিষাদলে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জমা জল, খোলা বিদ্যুতের তার, এগুলির জন্য দায়ী কে? গাফিলতি কার? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। এর মধ্যেই এবার জমা জলের কারণ ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বাংলা অনেকটা নৌকার মতো। ফলে এখানে জমা জল নামতে সময় লাগে। ঝাড়খণ্ড-বিহারে বৃষ্টি হলে তা বাংলায় চলে আসে।’ একইসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আগের তুলনায় এখন রাজ্যে জল জমার সমস্যা কমে গিয়েছে।’

এদিন ভবানীপুরে উপ নির্বাচনের প্রচারে একটি জনসভা করেন মমতা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে রাজ্যে জমা জল ও ভোগান্তির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘আগে বৃষ্টি হলে জল জমে যেত। সেই জল নামতে সাতদিন থেকে ১০ দিন সময় লাগত। এখন অনেক তাড়াতাড়ি সেই জল নেমে যায়। তাছাড়া বাংলা একটি নৌকার মতো। বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডে যদি বৃষ্টিপাত হয়, সেখানের জল চলে আসে বাংলার জেলাগুলিতে। DVC জল ছেড়ে দেয়। সমস্যা তৈরি হয় এ রাজ্যে। সল্টলেকও নৌকার মতো। ওখানে যখন বাড়ি তৈরি হয়েছিল তখন জমি ভরাট হয়নি ঠিকমতো। তাও আমরা এখন অনেকটাই সংস্কার করে দিয়েছি।’ তিনি জানান, মুম্বই-চেন্নাইয়ের তুলনায় কলকাতায় অনেক দ্রুত বিপর্যয় মোকাবিলা হয় এবং জমা জলের সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়।

পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বজ্রবিদ্যুৎ নিয়েও সাবধান করেন সাধারণ মানুষকে। তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন হচ্ছে। বর্ষাও বেশি হচ্ছে। ঘন ঘন বাজ পড়ছে। আগে এমনটা হত না। এখন একটা বাজ পড়লে সাত-আটজনের মৃত্যু হচ্ছে।’ এদিন মমতা বলেন, ‘আপনারা সকলে সাবধানে থাকবেন। অনুরোধ করছি জল হাতে বিদ্যুতের তার স্পর্শ করবেন না। প্রয়োজনে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সময় আপনাদের ঘরের টিভি সহ অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখুন। সাবধানতা অবলম্বন করুন, তাহলে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*