ভবানীপুর উপ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রথম থেকেই এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুদ্বারের পর এবার ভবানীপুরে শীতলা মন্দিরে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, একা নন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার মন্দিরে যান মমতা। সেখানে জনসংযোগ করেন তিনি। পঞ্চপ্রদীপ হাতে তাঁকে সন্ধ্যারতি করতেও দেখা যায়। আরতি করেন অভিষেকও। মমতা নিজেই প্রদীপ হাতে ধরিয়ে দেন পিকের। এরপর তাঁকেও আরতি করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে সাক্ষাতের পর নবান্নে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপরই সেখান থেকে ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে আসেন তাঁরা তিনজন। ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের এই মন্দির এলাকায় উপস্থিত সকলের সঙ্গেই জনসংযোগ করেন মমতা।
এর আগে ষোল আনা মসজিদের ইমামদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। গিয়েছিলেন গণেশ পুজোতেও। ভবানীপুর কেন্দ্রের একটা বড় অংশ শিখ ভোটার। তাই প্রচারে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুদ্বারেও যান। গত বৃহস্পতিবার মহানায়ক উত্তমকুমার উদ্যানে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য একটি ছোট সভা করেছিলেন। সমান্তরাল ভাবে ঘরোয়া সভা করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির লাগোয়া একটি প্রেক্ষাগৃহে এলাকার বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। অভিষেক ছাড়াও এই ঘরোয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীর মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা।
Be the first to comment