রাজ্যের একাধিক আসনে উপ-নির্বাচন করতে হবে। বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় যত দ্রুত সম্ভব সেই কাজটা সেরে ফেলার দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বললেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে তবেই ওরা উপ-নির্বাচন করবে। সেটাই যদি হয়, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব।’
এবার রাজ্যের আট দফার মোট ২৯২ টি বিধানসভা আসনে ভোট হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রার্থীদের মৃত্যুর ফলে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। ফলাফল প্রকাশের আগে মৃত্যু হয়েছে খড়দহের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। গত সপ্তাহে মারা গিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। খড়দহের আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যিনি ভবানীপুর থেকে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
ভবানীপুর থেকে মমতাকে জিতিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। যিনি বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তার ফলে নিয়ম অনুযায়ী, সরকার গঠনের ছ’মাসের মধ্যে মমতাকে জিতে আসতে হবে। তবেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকতে পারবেন। তাই তড়িঘড়ি উপ-নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে আসছে তৃণমূল।
সেই রেশ ধরে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও অপেক্ষা করছি। যত দ্রুত সম্ভব, উপ-নির্বাচন করতে হবে। এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সাতদিনের মধ্যে ওরা উপ-নির্বাচন করতে পারবে। প্রার্থীদের জন্য এত সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে তবেই ওরা (কমিশন) উপ-নির্বাচন করবে। সেটাই যদি হয়, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব। এখন পরিস্থিতি ঠিক আছে। যদি তৃতীয় ঢেউ আস, তাহলে কিছু করা যাবে না।’
Be the first to comment