মাসানুর রহমান,
আজ ৩টি নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের বরহমপুরে জনসভায় তিনি বলেন, বহরমপুরে দায়িত্ব নিয়ে আমিই কংগ্রেসকে তৈরী করেছিলাম। তখন আমি রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম। এখানে যখনই মানুষের ওপর কোনও অত্যাচার হয়েছে বা দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমি বারবার ছুটে এসেছি। ১৯৯৮ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস তৈরী হল, মাত্র এক মাস ২২ দিনের মধ্যে আমাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে হয়েছিল। আমি সেই অল্প সময়ে আমাদের প্রতীক সব জায়গায় পৌঁছে দিতে পারিনি। আমার ছবি দেখিয়ে কংগ্রেস বলত, ও তো কংগ্রেসেই আছে।
তিনি আরোও বলেন, আমি ছোট থেকে রাজনীতি করি, আমি মাটিকে যতটা চিনি, বুঝেছি মালদা ও মুর্শিদাবাদের সমস্ত আসন তৃণমূল পাবে। ও সবসময় সবাইকে চোর বলে ডাকাত বলে, সবসময় সারদা নারদা দেখায়, কিন্তু, ও নিজে কত কিছুর সঙ্গে জড়িত আমি বলতে চাইনা। আমিও অনেক কিছু জানি, বৈদিক ভিলেজের কান্ড কি করে হল? জোড়া খুন কি করে হয়েছিল? আমি সবকিছু জানি। কিন্তু, আমি রাজনৈতিক সৌজন্যতা মানি। তাই, এসব নিয়ে কিছু বলিনা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকি কিন্তু, বিশ্বাসঘাতকতা করিনা। সব থেকে বড় বিশ্বাসঘাতক কংগ্রেস। তেরঙা পতাকা হাতে নিয়ে সকালে সিপিএমের সঙ্গে ভাব করে, বিকেল বেলা বিজেপির সঙ্গে ভাব করে।
আজ যখন দেখি আমাদের পুরনো কর্মীরা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছে, আমার খুব ভালো লাগছে দেখে। মনিরুল হাসান বামপন্থী, ও বিজেপির কাছে মাথানত না করে আমাদের সঙ্গে এসেছে। আমরা তো কৃষকদের খাজনা মুকুব করে দিয়েছি, কৃষি জমির মিউটেশন ফি মুকুব করে দিয়েছি। কৃষকদের প্রতি একরে ৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। আমরা বিনা পয়সায় শস্যবীমা করে দিয়েছি। কোনও কৃষক মারা গেলে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সরকার দেয়।
Be the first to comment