শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেছে চিন সফর। তিন মাস আগে সফর নিশ্চিত হয়ে গেলেও, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সরকারি ও রাজনৈতিক স্তরে উপযুক্ত পর্যায়ের বৈঠক নিশ্চিত করেনি বেজিং। এমনকি বৈঠকের ব্যাপারে কোনও আশ্বাস মেলেনি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তরফেও। আর তারপরেই চিন সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নবান্নের তরফে।
চিনে সফরে মূলত বেজিং ও সাংহাই যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু চিনা সরকারের তরফে বৈঠকের আশ্বাস না মেলায় অনিশ্চিত হয়ে যায় বেজিং সফর। বৈঠক না হলে, “কাজ ফেলে ঘুরতে যাওয়া” যে তাঁর পছন্দ নয়, তা-ও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “বৈঠক না হলে শুধু বেড়াতে যাওয়া অর্থহীন। কাজ ফেলে রেখে ঘোরার সময় আমার নেই।”
উল্লেখ্য, এদিন রাতের বিমানেই প্রতিনিধি দল নিয়ে বেজিং যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে চিনে কর্মরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানান, এখনও পর্যন্ত যথোপযুক্ত রাজনৈতিক বৈঠকের কোনও রকম আশ্বাস মেলেনি বেজিংয়ের তরফে।
এরপরই দফায় দফায় সময়সূচি বদল হতে থাকে এবং বৈঠক নিশ্চিত করার বিষয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টা (ভারতীয় সময়ে) পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। কিন্তু, তাঁর আপ্রাণ চেষ্টার পরেও শুক্রবার বেলা ১২টার মধ্যে বেজিংয়ের দিক থেকে যথোপযুক্ত পর্যায়ের রাজনৈতিক বৈঠক নিয়ে কোনও সাড়া মেলেনি। আর এরপরই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
যদিও, সফর বাতিলের প্রভাব ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও ছাপ ফেলবে না বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীদিনে ভারত ও চিন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে বলেই আশাবাদী তিনি।
Be the first to comment