প্রয়াত কিংবদন্তি টেনিস তারকা আখতার আলি, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

ক্রীড়া জগতে নক্ষত্র পতন। প্রয়াত প্রাক্তন টেনিস তারকা আখতার আলি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া ক্রীড়াজগতে। টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন,আখতার আলির প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। একজন সত্যিকারের কিংবদন্তিকে হারালাম। আখতার স্যারের হাত ধরে ভারতের বহু টেনিস তারকা উঠে এসেছেন। আমরা তাঁকে ২০১৫ সালে বাংলার সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান দিয়েছি। আমি ওঁর সান্নিধ্য পেয়ে আপ্লুত। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।

পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন প্রাক্তন ডেভিস তারকা৷ ২৯শে জানুয়ারি উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হন৷ গত শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি৷ তারপর মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই আজ ভোর রাতে ঘুমের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়৷ রবিবার বিকেলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে আখতার আলির।

লিয়েন্ডারদের প্রাক্তন স্যার তথা প্রাক্তন ডেভিস তারকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া টেনিস মহলে। টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সোমদেব দেববর্মনের মত প্রাক্তন তারকারা।টুইটবার্তায় সমবেদনা জানিয়েছেন সোমদেব দেববর্মন। সোমদেব লেখেন, ‘আজও স্মৃতিতে অমলীন ১৯৯৯ সালে সাউথ ক্লাবে আখতার স্যারের থ্রো ডাউনে আমার টেনিসের হাতেখড়ি। উনি আমাদের সবাইকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। ভারতীয় টেনিসের কিংবদন্তি আখতার আলির আত্মার শান্তি কামনা করি।

টেনিস জগতে তিনি দেশের কিংবদন্তি৷ অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত ভারতের প্রাক্তন ডেভিস কাপার আখতার আলি৷ দক্ষিণ কলকাতার সাউথ ক্লাবে নিজের অনূর্ধ্ব-১৪ এবং অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট চলাকালীন ভারত তথা বাংলার টেনিস নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন আখতার আলি ৷

তিনি বলেছিলেন,স্কুল স্তর থেকেই ভালো প্রতিভা খুঁজে পাওয়া সম্ভব৷ সব বাচ্চারা পড়াশুনায় ভালো হতে পারে না৷ কিন্তু খেলাধূলা বা অন্যান্য বিষয় আগ্রহ এবং প্রতিভাই তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে পারে৷ বাংলার স্কুলগুলিতে সেভাবে টেনিস খেলাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না৷ কিন্তু আমি বলতে চাই খেলাধূলার মাধ্যমেও দুর্দান্ত কেরিয়ার গড়া যায়৷ সেখানে সবাইকে ভালো ছাত্র-ছাত্রী না হলেও চলে৷ টেনিসের মাধ্যমে ভালো কেরিয়ার গড়া সম্ভব৷ আর্থিক দিক থেকেও অনেক লাভবান হওয়া যায়৷

কলকাতার বাইরে দেখুন, সাউথ ইন্ডিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় স্কুলগুলিতেই টেনিস খেলাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়৷ যার মাধ্যমে ওখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা বিদেশেও স্কলারশিপ নিয়ে টেনিস কেরিয়ার গড়তে পারছে৷ আর আরও একটা কথা এখানে আমি বলছি, গরীব বা মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েদেরই আমি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি৷ কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদের মধ্যে যে পরিশ্রমটা করা দরকার, সেটা ধনী বাড়ির ছেলেমেয়েদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ এর জন্য আমি আর নরেশ (নরেশ কুমার) বাচ্চাদের স্পনসরও করে থাকি, যদি দেখি কোনও কিশোর খেলোয়াড়ের মধ্যে ভালো ট্যালেন্ট রয়েছে৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*