করোনায় বাংলায় হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তবে লকডাউন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরেই সুর মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে লকডাউনের পথে হাঁটতে চায় না মমতা সরকার। লকডাউনের বদলে টিকাকরণে জোর দিতে ১০০ কোটির ফান্ড ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মালদায় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ভ্যাকসিনের জন্য ১০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হবে। বাংলায় ৫ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।মমতা আরও জানান, SSKM-এ ২৪ ঘণ্টা স্যাটেলাইট কাউন্সেলিং হবে । ১৭ জন চিকিৎসক মিলে এটা করবেন।
লকডাউন প্রসঙ্গে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘এখনই লকডাউন নয়। লকডাউন হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। কাজকর্ম বন্ধ করে ঘরে বসে থাকলে হবে না। লকডাউন করে ঘরবন্দি হয়ে থেকে কোনও লাভ নেই। বরং, সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য,পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও কেন্দ্র যে লকডাউন চায় না তা দ্বার্থ্যহীন ভাষায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী বলেন, ‘আপনারা সচেতন হলে, লকডাউনের কোনও প্রশ্নই নেই ।’ আরও একধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ‘দেশকে লকডাউনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’ একইসঙ্গে রাজ্যগুলির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ, ‘লকডাউন হোক সর্বশেষ বিকল্প বরং মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের উপর জোর দেওয়া হোক।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এবারের করোনা ঝড় অনেক বেশি। আগেরবার সামলেছি, এবারও সামলে নেব। মৃদু উপসর্গ থাকলে সেফ হোমে থাকুন। প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ৯৩ লাখ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরও ১ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি। বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অক্সিজেনের ঘাটতি যাতে না হয়,সেটা দেখতে বলেছি।’
ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করবেন না। ভ্যাকসিনের দামে কেন্দ্র-রাজ্যে দামে এত ফারাক কেন’?
Be the first to comment