তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে করোনা মোকাবিলায় শক্ত হাতে হাল ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেইসঙ্গে রাজ্যের করোনা রোগীদের জন্য বেডের সংকট মেটাতে উদ্যোগ নিলেন তিনি ৷ এই মুহূর্তে রাজ্যে ২৭ হাজার কোভিড বেড রয়েছে। আরও তিন হাজার বেড বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বেড ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৮৭ হাজার বেড রয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে আরও তিন হাজার বেড বাড়ানো হবে। ৯০ হাজার বেড রাখা হচ্ছে।’নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোর ভারতীর পর এবার সল্টলেক স্টেডিয়ামকে কোভিড হাসপাতাল করা হল। সল্টলেক আমরি হাসপাতালের সহায়তায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে তৈরি হল ২২৩ বেডের কোভিড হাসপাতাল। এর মধ্যে রয়েছে ২১০টি জেনারেল বেড এবং ১৪টি ডরমেটরি। প্রতিটিতে ১৫টি করে বেড থাকছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সেগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতাল ও ভবানীপুর পুলিশ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হল৷ এদিন নবান্ন থেকে বেড়িয়ে বিকেলে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মমতা৷ সেখানে তিনি জানান, জেলার হাসপাতালগুলিতেও কোভিড বেড আরও বাড়ানো হবে৷
ভ্যাকসিন সংকট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখানে কয়েক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছি, সেখানে কয়েক লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের অক্সিজেন নিয়ে অন্যান্য রাজ্য চলে যাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সেখান থেকেই আপাতত অক্সিজেন আনছি।’ ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এদিন চিঠি লিখেছেন মমতা। তাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংক্রমণ প্রতিহত করতে হলে বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণে জোর দিতে হবে। তার জন্য বাড়াতে হবে টিকার জোগান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার৷ এদিন থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। সরকারি পরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। মেট্রো চলবে। তবে তাতে ৫০ শতাংশ যাত্রী থাকতে পারবেন। সেইসঙ্গে নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, দোকান খোলার সময় পালটে গিয়েছে। আগে সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ছিল। দুপুর ৩ টে থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সময় ছিল। বিকেলের সেই সময় পালটে গেল। এবার বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে সোনার দোকানের ক্ষেত্রে সময় হচ্ছে দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে।
Be the first to comment