সন্ত্রাসের জন্য সিপিএমকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

The newly appointed chief minister of eastern Indian state of West Bengal and Trinamool Congress (TMC) Mamata Banerjee addresses her supporters during a rally in Kolkata July 21, 2011. The annual rally was held to commemorate the July 21, 1993 event where 13 political party workers were killed by the police, and also to celebrate their historic win in the recent concluded state elections, TMC leaders said on Thursday. REUTERS/Rupak De Chowdhuri (INDIA - Tags: POLITICS CIVIL UNREST) - RTR2P4H0
Spread the love

মে মাসে হয়েছে এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। হিংসা, বুথ দখল, ব্যালট বাক্স জ্বালানো থেকে শুরু করে খুনের পঞ্চায়েত দেখেছে বাংলা। আর এই সন্ত্রাসের জন্য মঙ্গলবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় দাঁড়িয়ে প্রাক্তন শাসক দল সিপিএমকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” ৩৪ বছর ধরে সিপিএমের হার্মাদরা বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার করেছে, কুৎসা করেছে, খুন করেছে, লুঠ করেছে। সিপিএমের সেই হার্মাদরাই আজ বিজেপির সবথেকে বড় ওস্তাদ। বাইরে থেকে বন্দুক নিয়ে এসে, টাকা ছড়িয়ে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আগে যারা ছিল সিপিএমের হার্মাদ, তারাই এখন হয়েছে বিজেপির জল্লাদ। ওরাই পঞ্চায়েতে গণ্ডগোল পাকিয়েছে। খুনের রাজনীতি করেছে। এখনও সেটা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা সেটা বরদাস্ত করব না। “

প্রসঙ্গত, শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিনেই নয়, এই খুনের রাজনীতি গড়িয়েছে তার পরেও। নির্বাচনের আগেই পঞ্চায়েতের ৩৪ শতাংশ আসনের বেশিরভাগই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন শাসকদলের প্রার্থীরা। কিন্তু বিজেপি’র করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আটকে গিয়েছিল জয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই জট কেটেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্য সরকার খানিক স্বস্তি পেলেও বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে গিয়েই ফের শুরু হয়েছে খুনোখুনি।
কোথাও বিরোধী দলগুলি জোট বেঁধে শাসকদলকে আটকাচ্ছে, কোথাও তৃণমূলের মধ্যেকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খেসারত দিতে হচ্ছে দলকেই। সোমবার মালদায় মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল কর্মীর। পুরুলিয়ার জয়পুরে নিহত হয়েছেন এক বিজেপি কর্মীও। মঙ্গলবার সকালেই ঝাড়গ্রামে উদ্ধার হয়েছে ক্ষতবিক্ষত এক তৃণমূল কর্মীর দেহ। তৃণমূলের তরফে এই সব খুনের ঘটনায় বিজেপি ও সিপিএমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলেও বিরোধীরা বলছেন, এ সবই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী দলের কর্মী সমর্থকদের বলেছিলেন, কেউ বিরোধীদের প্ররোচনায় দেবেন না। তাতে দু’একটা সিট হারলেও কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু দেখা যায় ভোটের দিন আদতে দলনেত্রীর সেই নির্দেশের কোনও প্রভাব পড়েনি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের ফল ঘোষণা করার পরেও চারিদিকে দেখা যাচ্ছে সেই খুনের রাজনীতিই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*