মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধ না শুনেই ক্যাম্পাসে রাজ্যপাল, যাদবপুর প্রসঙ্গে বিবৃতি তৃণমূলের

Spread the love

অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে পেরেছেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ ঘুরপথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের গাড়ি করেই ক্যাম্পাস ছাড়েন তিনি ৷ আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি সত্যিই স্বাভাবিক?

এর জবাবে ‌শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন যে, এদিন রাজ্যপাল রাজভবন ছাড়ার আগে সরকারকে কিছু না জানালেও রাস্তায় বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বিষয়টি জানান। তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে না যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেটা না শুনে রাজ্যপাল যাদবপুরে যান।

তৃণমূল কংগ্রেসের বিবৃতিঃ

Trinamool Statement

September 19, 2019

This is most unfortunate and shocking that our Governor, the custodian of the Constitution of the State, without informing the elected government went to the so called rescue of the BJP leader from Jadavpur University.

BJP leader Babul Supriyo went there to attend the BJP students wing program without informing the Govt even.

Some unfortunate incident happened between BJP students wing and JU students.

The state police was waiting outside the university, but were unable to enter in the absence of any communication from the VC.

Hon’ble Governor went there without taking the State Government into confidence. On his way, he rang up the CM.

CM requested him several times that the Governor being the constitutional head need not go at this moment. The CM requested him to give the government some time to peacefully solve the issue.

But instead of taking the government into confidence, the Governor went there to help BJP. Before going there, he released two press statements that I quote “this is a very serious reflection on the law and order in the State”.

He of course did not offer any comment on the vandalism perpetrated by BJP and ABVP goons in the Jadavpur University campus today.

We strongly oppose his political views. Neither TMCP nor police are involved in the incident. It is absolutely with BJP and Leftist union students versus BJP leader.

So question of law and order does not arise. The state police facilitated in taking the BJP leader and the Governor out of the troubled spot.

The vandalism perpetrated in Jadavpur University today by BJP goons is a stark reminder of what happened in the political rally in front of Calcutta University and vandalisation of the bust of Pandit Ishwarchandra Vidyasagar in Vidyasagar College before the Lok Sabha election. We do not have words to condemn such shocking acts of violence and trouble-mongering.

  • Partha Chatterjee
    Secretary General, Trinamool Congress

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ৬টা ২০ নাগাদ দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন রাজ্যপাল। কিন্তু, কাজে ব্যস্ত থাকায় ফোনে পাওয়া যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেজে যায়। এরপর, ৬টা তিরিশ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা ফোন করেন রাজ্যপালকে। তখন দু’জনের মধ্যে কথা হয়। রাজ্যপাল জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যাদবপুরে কীভাবে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন, আপনি ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকিয়ে ব্যবস্থা নিন।

এরপর ৬টা ৩৮ ও ৬টা ৪০ মিনিটে ফের দু’জনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে বলেন উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকানো যায় না। তাছাড়া, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ রুখতে পুলিশ এভাবে হস্তক্ষেপও করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন, আপনি রাজভবনে থাকুন। আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। এর জবাবে রাজ্যপাল বলেন, উপাচার্য তো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। আমি আচার্য হিসেবে বলছি, ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকান। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তাতেও রাজি হননি। মমতা বলেন, এভাবে বললেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকানো যায় না। আপনি বিষয়টি বুঝুন।

এরপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, ফোনে মুখ্যমন্ত্রীকে জগদীপ ধনকড় বলেন, উপাচার্য নিজের দায়িত্বপালনে ব্যর্থ। তিনি বামমনস্ক। আপনি তাঁকে এখনই উপাচার্য পদ থেকে সরান। সূত্রের খবর, জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এভাবে কোনও উপাচার্যকে পদ থেকে সরানো যায় না। এর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তাছাড়া, সুরঞ্জন দাস দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী আবারও রাজ্যপালের কাছে রাজভবনেই থাকার আবেদন করেন ৷ কিন্তু, রাজ্যপাল রাজভবনে বসে থাকেননি। সন্ধে সাতটা নাগাদ তিনি পৌঁছে যান যাদবপুর ক্যাম্পাসে। তাঁর গাড়িতেই ক্যাম্পাস থেকে বেরোন বাবুল সুপ্রিয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*