রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসন রাজনীতির খাঁচায় বন্দী। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে মুক্ত করুন। রাজ্যের প্রশসান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে কড়া ভাষায় আবার আক্রমণ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। ‘পুলিশকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মী নন’, মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যপাল।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচিল তোলা-তা ভেঙে ফেলার ঘটনা নিয়ে কয়েকদিনে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের আইন-প্রশাসন আজ কোথায়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শাসকপক্ষের ভূমিকাকেই কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা বারবার ধনকড়ের বক্তব্যে এসেছে। এমনকী বিশ্বভারতীর ঘটনায় তাঁর মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে, এই কথাও বলেন তিনি।
তবে বিশ্বভারতীর ঘটনাই প্রথম নয়, তার আগেও রাজ্যের প্রশাসন ব্যবস্থার একাধিকবার সমালোচনা করেছেন তিনি। বিশ্বভারতীর ঘটনা ধনকড়ের সেই বারবার অভিযোগকে আরও একবার উসকে দিয়েছে। আজ সকালে টুইটারে আবার সরব হন রাজ্যপাল।
টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ পুলিশ এবং প্রশাসনকে রাজনৈতিক খাঁচা বা শৃঙ্খল মুক্ত করুন। দুর্ভাগ্যজনক যে, পুলিশ এবং প্রশাসন সবসময় শাসকপক্ষের দরজায়।
তাঁর আরও উল্লেখ, গণতন্ত্র এবং আইনের ভূমিকায় এক বড় আঘাত। রাজনৈতিক-প্রতিশ্রুত পুলিশ-প্রশাসন মৃত গণতন্ত্রের দৃষ্টান্ত। সরকারী কর্মীরা রাজনৈতিক কর্মী নন।
রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত নতুন নয়, দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে হলকর্ষণ অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, জেলায় বোমা-কারখানার কারবারি চলছে । আজ টুইটেও সেই কথা উল্লেখ করেন তিনি, “বেআইনিভাবে বোমা-তৈরির কারখানা চলছে । সেখানে আইন-শৃঙ্খলা আশঙ্কাজনক ।”
রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যকলাপে যে জদগীপ ধনকড় হতাশ তাও স্পষ্ট হয় তাঁর টুইটে। ধনকড় লেখেন, কখনও ভাবিনি IAS এবং IPS আধিকারিকরা আত্মসমর্পণ করতে পারেন। তাঁদের কার্যকালপ এখন প্রকাশ্যে। এখন কর্তব্যের ডাকে সাড়া দেওয়ার সময়।
Be the first to comment