নতুন সরকার শপথ নেওয়ার দিন থেকেই রাজভবন–নবান্ন সংঘাত শুরু হয়। তখন থেকেই ভোট–পরবর্তী হিংসা–সহ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। যা তিনি অব্যাহত রাখলেন পুলিশ দিবসেও। রীতিনতো টুইট করে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বুধবার টুইটে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নাম না করে রাজ্য পুলিশকে কটাক্ষ করলেন তিনি। তৎক্ষনাৎ পানাগড় থেকে তার পালটা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আবারও তৈরি হয়ে গেল রাজভবন–নবান্ন সংঘাতের আবহ।
আজ টুইটে ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল? আজ টুইটারে জগদীপ ধনখড় লেখেন, ‘আশা করি, পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে। মানবাধিকার যোদ্ধার কাজ করবে। পুলিশের রাজনীতিকরণ হলে গণতন্ত্রের বিপদ।’ রাজ্যপালের এই মন্তব্য রাজ্য–রাজনীতিকে তোলপাড় করে দিয়েছে। কারণ একই ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনিও বলেছেন, পুলিশে যোগ দেওয়ার সময় যে শপথবাক্য পাঠ করেছিলেন তা ভুলে যাবেন না। সেই অনুযায়ী কাজ করুন।
পুলিশকে যখন তাঁরা কাঠগড়ায় তুলতে ব্যস্ত তখন পানাগড়ের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের টুইটের পালটা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে কুর্নিশ। অনেকেই দেখলাম টুইটে ব্যঙ্গ করছে। তাঁদের বলব, হাজারটা কাজ করলে দু’একটা ভুলভ্রান্তি হতেই পারে।’ রাজ্যপালের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল যা বলেছেন সেখানে যদি পুলিশের পাশাপাশি সিবিআই, ইডিকেও জুড়ে দেন, তবে কিছু বলার নেই। ওনাকে পরামর্শ দেব টুইটটি এডিট করার, তাহলেই ওনার নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বুধবার টুইটে পুলিশ কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুর্নিশ জানিয়েছেন পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও। রাজ্যপাল অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর টুইটের পর কিছুই বলতে পারেননি। তিনি চুপ করে গিয়েছেন। তবে রাজ্যপালের টুইটের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী জবাব দেওয়ায় সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Be the first to comment