রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পরই সোজা চলে গেলেন ধর্ণা মঞ্চে। আর সেখানে বসে সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাইলেন, “এবার তোর মরা গাঙে বাণ এসেছে, জয় মা বলে ভাসা তরী”।
শনিবার বিকেলে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা কর্মসূচিতে যোগ দেন তৃণমূলনেত্রী। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে মঞ্চ বেঁধে ধরনায় বসেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানেই এদিন যোগ দিয়েছেন মমতা।
এদিন ধর্ণা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, আমরা বাংলা থেকে প্রতিবাদ শুরু করেছি। আর সেই বাংলা থেকে আমরা দেখিয়ে দেব যে আমরা পারি। তিনি আরও বলেন, নাগরিকত্ব বিল কার্যকর করার যে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে, সেটা শুধু খাতা-কলমেই থাকবে, মানুষ না চাইলে তা কার্যকর হবে না। এই আইন অসাংবিধানিক, অমানবিক।
প্রধানমন্ত্রীকেও নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এনপিআর নিয়েও তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা টাকা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বিভিন্ন খাতে পাওনা টাকার পরিমাণ ২৮ হাজার কোটি। বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ৭ হাজার কোটি টাকাও পাওনা আছে। দ্রুত সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।
এছাড়াও নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআর নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। রাজভবনে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সিএএ, এনআরসি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। মানুষে-মানুষে বৈষম্য চাই না। সেকথা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। আমরা যে সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে সেটাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি বাতিলের দাবি জানিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে।
Be the first to comment