ভিডিও সৌজন্যে- (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক)
সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’কে হাতিয়ার করেও নাকি তোলাবাজি করছে পুলিশ ৷ স্বয়ং রাজ্য পুলিশের ডিজি-এর সামনেই এবার বিষয়টি নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ বুঝিয়ে দিলেন, এবিষয়ে কঠোরতম পদক্ষেপ করতেও তিনি পিছপা হবেন না ৷ পাশাপাশি পুলিশকে আরও মানবিক হওয়ার পরামর্শও দিলেন মমতা ৷ কথায়-কথায় জরিমানা না করে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপদেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর সফরের দ্বিতীয় দিনে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই বৈঠকে উন্নয়নের যাবতীয় কাজে প্রশাসনকে ক্লিনচিট দেন ৷ কিন্তু অসন্তোষ প্রকাশ করেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ৷ তিনি জানান, সিভিক ভলান্টিয়রকে দিয়ে পুলিশ জরিমানা আদায় করছে। মানুষকে হয়রান করছে। আর পুলিশের এই জরিমানা আদায় আর হয়রানির হাতিয়ার হচ্ছে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি। এদিন পুলিশকে সংযত এবং মানবিক হওয়ার পরমার্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এসপিদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজি বীরেন্দ্রকে নির্দেশ দেন তিনি ৷ মমতা বলেন, সিভিকদের দিয়ে ফাইন নেওয়া হচ্ছে। বলছে গাড়ি ধরো, আর টাকা নাও। এটা কেন হবে?
পাশাপাশি এদিন ডিজিকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ দেখাতে গিয়ে বেশি কেস দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কে যে সত্যিই দুষ্টুমি করবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। অলিতে-গলিতে একটা গরিব লোকের পকেটে ৪০০ টাকা রয়েছে ৷ তাঁর কাছে থেকে ২০০ টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে কেন? কে বলেছে এই টাকাটা আদায় করতে? প্রত্যেকে একই কথা বলছে। কেন হচ্ছে এটা? সারা বাংলায় হচ্ছে এটা। পুলিশের সুবিধার্থে সিভিক ভলান্টিয়ার নেওয়া হয়েছিল ৷ ওরা ভালো কাজ করছে ৷
মমতা আরও বলেন, দিঘার রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে, কীভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। এদিন দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় প্রয়োজনে একটা মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ ওয়াচ টাওয়ার বানানোরও পরামর্শ দেন তিনি।
এদিন কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
শুনুন!
Be the first to comment