আমারও ইচ্ছে হয়, আমিও প্রধানমন্ত্রী হব; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ

Spread the love

“দিদিমণি বলছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। সে তো আমারও ইচ্ছে হয়, আমিও প্রধানমন্ত্রী হব। রাজ্যের ৪২টা লোকসভা সিটে জিতলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কোনও চান্স নেই। তাঁর প্রোমোশন হবে না। ২০২১ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীই থাকতে হবে। আমরা চাইলে তার আগেই নামিয়ে কালীঘাটে পাঠিয়ে দেব।” গতকাল জলপাইগুড়ির হলদিবাড়ি মোড়ে একটি পথসভায় একথা বলেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

পুলিশের কাছে সভা করার অনুমতি না পেয়ে হলদিবাড়ি চৌমাথা মোড়ে দলীয় কর্মীদের জড়ো করে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। একটি ম্যাটাডোরে দাঁড়িয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। BJP রাজ্য সভাপতি বলেন, “দিদিমণি স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁকে বলছি, আপনি ঘোষণা করুন কোন সিটে লড়বেন। আমরাও দেখে নেব। পিসি আর ভাইপোকে জিততে দেব না। তৃণমূলের MP-দের এলাকায় দেখা যায় না। তৃণমূলের ফিল্ম স্টার সাংসদরা, যাঁদের ফরসা চেহারা তাঁরা বাড়ি থেকে বের হন না কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে। তাঁরা দিল্লিতে থাকেন। সংসদ চললেও তাঁরা সংসদের ভেতরে যান না। সংসদের বাইরে থাকেন। ঝুড়ি আর কলসি নিয়ে নাচ দেখান।” তিনি আরও বলেন, “আগামী বছর লোকসভায় সবাই নিজের ভোট নিজে দেবে। যাকে পছন্দ তাকে দেবে। পঞ্চায়েতে দিদির পুলিশকে দিয়ে ভোট লুট করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে দাদার পুলিশ দিল্লি থেকে আসবে। তাই এরাজ্যের পুলিশ বন্ধুদের বলছি, আপনাদের রোদে বেরোতে হবে না। আপনাদের গাছতলায় চেয়ার দিয়ে দেব, আপনারা খৈনি ডলতে থাকবেন আর দিল্লির পুলিশ ভোট করাবে।”
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের যত আটকাবে আমরা তত সেই জায়গায় গিয়ে মিছিল, সভা করব।”
হলদিবাড়িতে দিলীপ ঘোষের সভা তৃণমূল কংগ্রেস বানচালের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে জেলা BJP। তৃণমূল কর্মীরা একই জায়গায় জড়ো হয়ে সভা করার চেষ্টা করে। কিন্তু, দিলীপ ঘোষের আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়েকশো BJP কর্মী হলদিবাড়ি মোড়ে জড়ো হতে শুরু করে। BJP-র কর্মীদের সংখ্যা দেখে সেখান থেকে চলে যায় শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। এরপর একটি ম্যাটাডোরের উপরে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুরু করেন দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ সন্ধ্যার পর চৌমাথার লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাছাড়া, সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন BJP সমর্থকের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরে আহত হন তিনজন। তাঁরা সাতকুড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*