‘কিছুটা খেলা হয়েছে, এবার বাকিটা খেলা হবে’, খেলা দিবসের সূচনায় নেতাজি ইন্ডোরে সোমবার এভাবেই হুঙ্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে কলকাতা ময়দানের এই মুহূর্তের সবথেকে বড় সমস্যাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি বিতর্ক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি চাই ইস্টবেঙ্গলও ISL খেলুক। মোহনবাগানও খেলুক। চুক্তি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে জানি। কথাবার্তা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। যা যা চুক্তি হচ্ছে, একটু ছেড়ে খেলুন। তাহলেই হয়ে যাবে’। মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, ‘চিন্তা নেই। সমস্যা মিটে যাবে। আইএসএলে খেলবে ইস্টবেঙ্গলও।’
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের মূল মন্ত্র ছিল ‘খেলা হবে’। তৃতীয়বার সরকার গঠনের পরই বাংলায় প্রতি বছর ১৬ অগাস্ট ‘খেলা দিবস’ পালনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই সোমবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোভিড বিধি মেনে এই আয়োজন। সেই মঞ্চ থেকে রাজনীতির খেলা নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘বাংলায় খেলা হয়েছে, এবার সংসদে খেলা হবে, রাজস্থান-উত্তরপ্রদেশ- সর্বত্র খেলা হবে শোনা যাচ্ছে। বাংলা পথ দেখিয়েছে। এবার সারা দেশেই খেলা হবে। খেলা তো কিছুটা হয়েছে, আরও হবে।’ একইসঙ্গে জোড়াফুলের খেলাকে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দিতে ও চিরস্থায়ী করতে নানা কর্মসূচির কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’খেলা ছাড়া তো জীবন চলে না। খেলার মধ্যে দিয়েই ঐক্য, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে। প্রতিটি খেলাই আমাদের প্রিয়। বাংলায় ৪০টি যুব নিবাস, ৭৪টি স্টেডিয়াম, ৪ হাজারের বেশি মাল্টি জিম, ৪০০-র বেশি খেলার মাঠের উন্নয়ন, সুইমিং পুল, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্টেডিয়াম, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান মাঠ, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক লক্ষ বল গ্রামের গরিব ক্লাবগুলিকে আমরা দেব। খেলাশ্রী প্রকল্পে সব ক্লাবগুলিকে সাহায্য করা হবে।’
Be the first to comment