ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক সীমানা নেইঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

আজকের মিটিং খুব ভালো হয়েছে। এপার বাংলা-ওপার বাংলা সব সময় ভালো, দুদেশের সম্পর্ক সৌজন্যমূলক। মুজিবর রহমানের নামে একটা মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। থিয়েটার রোডে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান থাকতেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ এসেছে। মিউজিয়াম খুব শীঘ্রই তৈরী হবে। দুদেশের সব বিষয় নিয়ে আমরা সবসময় আলোচনা করি। এদিন দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্পর্ক আরও ভালো করার বার্তাও এদিন হাসিনাকে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

হাসিনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজকের নয় দীর্ঘ দিনের। ওনার পরিবারের সবাইকেই আমি চিনি। যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না তখন থেকেই আমি ওনাকে চিনি। আমাদের সম্পর্ক ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা ওনাকে ডিলিট দিতে চেয়েছিলাম, উনি নিয়েছেন এবং আমাদের সম্মান আরও বাড়িয়েছেন। শনিবারই আসানসোলের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডিলিট দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে। এদিন সম্মান পাওয়ার পর হাসিনা মমতাকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, আজ কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনেই আমাকে সম্মানিত করা হল। এটা সত্যিই খুব গর্বের। পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আমরা এখানে মুজিবর রহমান মিউজিয়াম তৈরী করবো ওরা যদি রাজি থাকে। যদি দুইদেশ রাজি হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম তৈরি করতে পারবো। থিয়েটার রোডে ওদের একটা জায়গা আছে, ওটা অরবিন্দ ভবনের অধীনে আছে। ওটা ওরা রিস্টোর করতে চায়। আবারও হাসিনাকে এদেশে আসার অনুরোধ জানিয়েছি। বারবার উনি আসুন আমরা সেটাই চাই। উনি আসুন, আমরাও যাবো। দুদেশের সম্পর্ক আরও ভালো হোক। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক সীমানা আছে বলে আমার জানা নেই। একটা ওপেন ইনভিটিশন আছে আমাদের মধ্যে। আমরা দুজনই-দুজনকে খুব ভালোবাসি। যখনই দরকার হয় কথাও বলি।

শনিবার কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে। আর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনই প্রতিক্রিয়া জানলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*