নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর প্রথম জেলাসফর বাঘমুণ্ডির সভা থেকে সোজা বলরামপুর। মঞ্চে উঠে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, পাশাপাশি লোকসভা ভোটের ফলকে মাথায় রেখেই বললেন, ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন। এদিন মমতার বক্তব্যের শুরুতেই এল তাঁর আঘাত পাওয়ার ঘটনার কথা। নিজের মুখেই বললেন, সেদিন ঠিক কী হয়েছিল।
এদিন মমতা বলেন, প্রচারের সময়ে পা দানিতে দাঁড়িয়ে নমস্কার করছিলাম। এমন সময় কেউ গাড়ির দরজা কেউ চেপে দেয়। চিকিৎসকরা বলেছিলেন ১৫ দিন উঠতে পারব না। আমি তখন বলি হুইল চেয়ারে হলেও মানুষের কাছে পৌঁছে যাব। হাজরায় মাথায় মারা হয়। দুহাতে চোখে অপারেশন আছে।
বলরামপুরেও বাঘমুণ্ডির মতোই মমতা বললেন, অনেকে ভেবেছিল বেরোতে পারব না, সেই সুযোগে ডুগডুগি বাজাবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত শ্বাস থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হবে না। এছাড়াও এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এলেন বিজেপি সাংসদদের বিধায়ক পদপ্রার্থী হয়ে লড়াই করার ঘটনাকে।
মমতা বলেন আমি সাধারণ ঘরের মেয়ে, স্ট্রিটফাইটার। দমিয়ে রাখা যাবে না। কোনও কাজে যদি কেউ দুঃখ পান ক্ষমা চাইব। সংশোধন করে নেবে তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির কথায় ভুল বুঝে লোকসভার মতো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
বাংলাকে কুকথা বলছে। কৃষকরা আজও আন্দোলন করছে। দাঙ্গায় কত মানুষকে খুন করা হয়েছে! মমতা আরও বলেন, বলরামপুরে মানুষের মুখে ভয় দেখেছি। আজ আপনারা শান্তিতে আছেন কি নেই!
ওরা রেল বিক্রি করে দিচ্ছে। ব্যাঙ্ক বিক্রি করে দিচ্ছে। বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না। মমতা আরও প্রতিশ্রুতি দেন ক্ষমতায় এলে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবো। দুয়ারে সরকারের মতোই চলবে এই কাজ।
মমতা জানান, ছজন তফশিলি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। আমার সঙ্গে থেকেছে ওঁরা। এক থালায় খাই, এক বিছানায় ঘুমোই। বিজেপি এর হাতের ছোঁয়া খাবে না, ওর হাতের ছোঁয়া খাবে না। পাশাপাশি দলনেত্রী আরও বলেন, সীমান্তে লোক পাঠাচ্ছে ভোট লুঠতে। অচেনা কাউকে ঢুকতে দেবেন না।
ছাপ্পা ভোট দিতে রেলে চড়ে বহু লোক আসতে চাইছে। আপনারা দেখে রাখবেন, এমনটা হতে দেবেন না। দায়িত্ব নিয়ে এই কথা বললাম।
Be the first to comment