বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় দাঁড়িয়ে যখন মমতাকে নিশানা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তখন প্রথমে গড়বেতা ও পরে কেশিয়ারি থেকে পাল্টা আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পায়ের চোট নিয়ে যে বিজেপি ‘নাটক’ তত্ত্ব খাঁড়া করছে, তাঁদের এদিন জবাব দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘আমার পায়ে এখনও অসহ্য যন্ত্রণা। কিন্তু বাংলা লুঠ করতে দেব না। আমি আমার মা-বোনেদের পায়ের শক্তি দিয়েই ওদের রুখে দেব।’
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আঘাত লাগা নিয়ে অবশ্য এদিনই মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে মোদী বলেছেন, ‘দিদির আঘাত আমাকে চিন্তিত করেছিল।’ যদিও বিজেপি কর্মীদের এ রাজ্যে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গও এদিন সুকৌশলে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
যদিও আঘাত নিয়ে বিজেপির কটাক্ষের জবাব বুধবার ইস্তেহার প্রকাশের দিনই দিয়েছেন তিনি। বলেছিলেন, ‘পিজি-র এতজন ডাক্তার, এমআরআই রিপোর্ট, মেডিক্যাল রিপোর্ট, সবই ভুল? বিরোধীরা কী কটাক্ষ করল বলল তাতে আমার কিছু আসে যায় না ৷ কাউকে জিজ্ঞেস করুন না, নিজের দুটো পায়ে চলা, আর না চলতে পারা কত বড় ব্যথা ৷ আমার তো মাথায় আঘাত করেছে, দুটো হাত ভেঙে দিয়েছে, আমার চোখও গিয়েছে, গুলিও চালিয়েছে, পেটেও মেরেছে, কতবার অপারেশন হয়েছে ৷ সবই ভাঁওতা, সবই ভুল! ওনাদের কী আছে?’
হুইল চেয়ারে করে মমতার ভোট প্রচার কি সহানুভূতি আদায়ের জন্য়? প্রশ্নের উত্তরেও মমতার জবাব ছিল, ‘আমি হুইলচেয়ারে ঘুরছি আমার কোনও উপায় নেই বলে ৷ আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে ৷ একটা পা তো ফেলতেই পারছি না ৷ যখন পা টা টেনে এনে লাগাচ্ছে গোড়ালিতে চোট বলে, খুব ব্যথা করছে ৷ কিন্তু আমি মানুষের কষ্টটা বুঝি ৷ তাই তাঁদের কাছে আমাকে যেতে হবেই।’ এখনও যে তাঁর পা রক্তাক্ত, তা বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিতও হয়।
পাশাপাশি বিজেপি এ বাংলায় লুঠ চালাবে, সেই আশঙ্কা ব্যক্ত করে মমতা বলেন, ‘ভোট এলেই এরা ক্যাশ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। হাজার হাজার নেতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাইরে থেকে বিমানের পর বিমানে চেপে আসছেন। বহিরাগত গুণ্ডাদের ঢোকাচ্ছে। ভোট লুঠের চেষ্টা করছেন। আমার মা-বোনেরা তাই এমন দেখলেই হাতা-খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাবেন।’
Be the first to comment