
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালু না হওয়ায় মোদি সরকারকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মহিলা সংরক্ষণকে নিয়ে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নারী ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। তাই মহিলাদের জন্য ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ এবং ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছি। বিশ্বমঞ্চে পুরস্কারও পেয়েছে ‘কন্যাশ্রী’। সংসদে আমাদের দলের ৩৯.৫ শতাংশই মহিলা। কেন্দ্রকে বার বার মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালুর কথা বলেছি। কিন্তু কেন্দ্র কিছুই করেনি। শুধু মুখেই নারী ক্ষমতায়নের কথা বলছে।’
এদিন থেকেই নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিবিজিএস)। ৪০টি দেশ থেকে শিল্পপতি-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন। হাজির হয়েছেন ২০টি অংশীদার দেশের রাষ্ট্রদূত। দেশের শীর্ষ শিল্পপতি তথা রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি, জিন্দল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান তথা এমডি সজ্জন জিন্দলরাও মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন। দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিদের সামনে তাঁর নেতৃত্বে বাংলার সরকার কীভাবে সাধারণ মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, ‘আমরা ভাগাভাগিতে বিশ্বাস করি না। বরং একতায় বিশ্বাস করি। বাংলার মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালু করেছি। গরিব পরিবার নিঃখরচায় চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। জনগণের দরজায় প্রশাসনকে নিয়ে যেতে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির খুলেছি। ওই শিবির থেকেই মানুষ সরকারি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।’ ক্ষমতার পালাবদলের পরে বাংলায় শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠেছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে শিল্পের জন্য ৫০০০ একর জমি সম্বলিত ল্যান্ড ব্যাঙ্ক রয়েছে। অনেকে বিনিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে বা প্রবেশদ্বার হয়ে উঠেছে বাংলা। বর্তমানে বাংলার অর্থনীতি দেশের অনেক রাজ্যের থেকে ভাল। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বাংলা এক নম্বর। গত কয়েক বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।’
Be the first to comment