সারা দেশ জুড়ে প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে চলছে লকডাউন। যাঁরা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এদিকে দেশজোড়া লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন বাংলার অসংখ্য শ্রমিক। তাঁরা যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে সেই রাজ্যে থাকতে পারেন সেই আবেদন জানিয়ে দেশের ১৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, বাংলার শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ফিরে আসারও কোনও উপায় নেই। তাই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে তাঁরা যাতে নিরাপদ আশ্রয় পান, পর্যাপ্ত খাবার এবং প্রয়োজন মতো ওষুধ পান তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী ওই চিঠিতে আরও লিখেছেন, সব রাজ্যেই বাংলার শ্রমিকরা ৫০-১০০ জনের গ্রুপ করে থাকেন। স্থানীয় প্রশাসন চাইলেই তাঁদের চিহ্নিত করা সম্ভব। তারপর তাঁদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
হাওড়ার ডোমজুড়ের বহু শ্রমিক আটকে রয়েছেন দিল্লি, মুম্বইতে। সোনার গয়না বা জরি শিল্পের সঙ্গে হাওড়ার বহু শ্রমিক রয়েছেন মুম্বই, থানের মতো জায়গায়। তেমনই মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলির বহু নির্মাণ শ্রমিক আটকে রয়েছেন পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো রাজ্যে। দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল কাটোয়ার প্রায় ৫০জন শ্রমিক কেরলে আটকে পড়েছেন। দক্ষিণের সেই রাজ্য থেকে কলকাতায় আসার বাস ভাড়া চাওয়া হয় একলক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন জানান আটকে পড়া শ্রমিকরা। বাংলায় থাকা কয়েক জাহার শ্রমিকের পরিবারও উৎকণ্ঠায়। এই পরিস্থিতিতে ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment