চলছে রমজানের মাস। লকডাউনের মাঝেই খুব কষ্ট করেই রোজ পালন করছেন দেশের সংখ্যালঘু ভাইয়েরা। কারণ ঠিকভাবে মিলছে না অনেক কিছুই নয় দোকান বন্ধ তো আবার অনেক কিছুই মিলছে চড়া দামে। কার্যত একই অবস্থা এই রাজ্যেও। তবে কষ্টে বেশ কিছু কাটিয়ে ফেলেছেন সংখ্যালঘু ভাইয়েরা। চলতি মাসের শেষেই হয়তো ঈদ। একমাসের কঠিন রোজা শেষে খুশির ঈদে মাতবে সংখ্যালঘু ভাইয়েরা। জল্পনা উঠছে ঈদের আগে হয়তো লকডাউনে কিছুটা শিথিল হতে পারে। আর এই জল্পনার মধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন ইমামরা।
বাংলায় ইমামদের এক সংগঠনের তরফে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে তাঁদের অনুরোধ, দয়া করে ঈদে লকডাউন শিথিল করবেন না। বছর ঘুরে আসে খুশির ঈদ। সারা বছর এই দিনটার জন্যেই অপেক্ষা করে থাকে সংখ্যালঘু মানুষেরা। এর মধ্যে একমাসের কঠিন রোজা। চলছে দেশজুড়ে লকডাউন। চলতি মাসের শেষে ঈদ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। পরিস্থিতি সেই সময় স্বাভাবিক হবে না বলেই মনে হয়। কিন্তু তাও সংখ্যালঘু মানুষের কথা ভেবে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হতে পারে বলে জোর জল্পনা।
এই পরিস্থিতিতে যাতে তা না করা হয় সেজন্যেই ইমামদের এই চিঠি। চিঠির একটি অংশে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে অন্তত ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিন। আগে মানুষ বাঁচুক, তার পর উৎসব। আমরা এত ত্যাগ করেছি, আরও করব।’
অন্যদিকে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে এবার কলকাতার মসজিদের দরজা খুলে দিয়েছেন ইমাম। দেশজুড়ে করোনা মোকাবিলায় চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। লকডাউনের জেরেই বন্ধ রেছে মসজিদটি। এবার সেই মসজিদেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করার আবেদন জানিয়েছেন ইমাম।
ইতিমধ্যেই কলকাতার জামিয়া মসজিদ গাউসিয়া-র ইমাম মৌলানা কোয়ারি মহম্মদ মুসলিম রাজউই কলকাতা পুরসভার কাছে মসজিদে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মহান আল্লার উপাসনার এই স্থানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়া হলে তিনি খুশি হবেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
Be the first to comment