ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যেই শিক্ষার ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বড় ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, কম খরচেই রাজ্য সরকার তাঁদের পড়ার ব্য়বস্থা করবে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের রাজ্যে পড়ার ব্যবস্থা করা হবে। ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও মিলবে ইন্টার্নশিপের সুযোগ। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপের সুযোগ। ইন্টার্নদের জন্য স্টাইপেন্ডের ব্যবস্থাও করবে রাজ্য। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্যও থাকবে বিশেষ সুযোগ।
রাজ্য সরকার ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের জন্য কী কী পদক্ষেপ করছে, তা দেখে নিন এক নজরে।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের জন্য এখানে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। টাকা-পয়সার যাতে কম লাগে তার ব্যবস্থা করা হবে। টাকা পয়সার দিক থেকে একটা সীমা বেঁধে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ অনুমতি করা হবে। একটা কাউন্সেলিং করানো হবে। সেটা শুধু বাধ্যতামূলকভাবে।
যেসব ডাক্তারি পরিবার চতুর্থ এবং পঞ্চম বর্ষে রয়েছেন, তাঁরা যাতে এখানে প্র্যাকটিস করতে পারেন, তার জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে চিঠি লিখবেন মুখ্যমন্ত্রী। ষষ্ঠ বর্ষ পড়ুয়াদের জন্য এই বিষয়টি থাকবে।
যারা অফলাইনে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। অনলাইনেও ব্যবস্থা থাকবে। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ারা সব থেকে বেশি সমস্যায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্য দ্রুত সেমিস্টার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রথম বর্ষের যারা পড়ুয়া রয়েছে তারা যদি আবার প্রথম থেকে শুরু করতে চায় তাহলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে চিঠি লিখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে সরকার এক তৃতীয়াংশ জায়গা পায়। যে কারণে বেসরকারি প্রাইভেট প্রাইভেট কলেজে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের যাবতীয় পড়াশুনার দায়িত্বভার খরচ স্কলারশিপ আকারে রাজ্য সরকার বহন করবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এমনিতেই ইউক্রেন ফেরত ছাত্রছাত্রীদের অনেক খরচ হয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্য সরকার তাঁদের ওপর আর খরচের বোঝা চাপাবে না।
রাজ্য সরকার ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিলে চিঠি করবে। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য আধিকারিক পিভি সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা চিঠি পৌঁছবেন কমিশনে। মমতা বলেন, “যদি কাউন্সিল সব বিষয়ে আপত্তি করে তাহলে আমি সব ডাক্তারি পরিবারকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সঙ্গে দেখা করব।” এরপরই তিনি বলেন, “আমি খরচ বহন করছি আমি, পড়াচ্ছি আমি, সব কিছু করছি, তাহলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের আপত্তি কোথায়?”
ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাতে পড়ুয়াদের বাড়ির কাউকে গ্যারান্টার হতে হবে না। গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার।
Be the first to comment