বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনিতে কাজ শুরু হলে বাংলায় ১০০ বছরে কয়লার অভাব হবে না। বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আশা, এতে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বুধবার নবান্নে দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লক নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কয়লার ব্লক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। এখানে কাজ শুরু হলে এরাজ্যে আগামী ১০০ বছরেও কয়লার অভাব হবে না। রাজ্যের বাইরেও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
প্রায় তিন বছরের টানাপোড়েনের পর জুন মাসে বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকায় দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি হাতে পায় রাজ্য। কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রক থেকে এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত ছাড়পত্র আসে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই দুটি কয়লা খনি যৌথভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারতবর্ষের বৃহত্তম কয়লা খনি। এখানে প্রায় ২.১০২ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত রয়েছে। এই প্রকল্পে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে লক্ষ্যাধিক ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। যদিও অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে এগোতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক্ষুনি কাজ শুরু করছি না। পরিকল্পনা করে, ওখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে, সার্ভে করে তবেই এই প্রকল্পে হাত দেবো আমরা। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে থাকবেন অবশ্যই বিদ্যুৎ দফতর, পরিবেশ দফতর, ডিজি, জেলার এসপি, স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা এবং অবশ্যই এই বিষয়ের এক্সপার্টরা। এটি ছাড়াও জেলা শাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি হবে। পরিবেশ দফতর বিশেষ করে বায়ুদূষণ বিভাগে ছাড়পত্র ছাড়া এইরকম প্রকল্প নিয়ে এগোনো যায়না। কেন্দ্রীয় সরকারকে এর জন্য ৫০ কোটি টাকা রাজ্য দেবে, যা পরে কেন্দ্র ফেরত দিয়ে দেবে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বারবার বলেন, আমরা তাড়াহুড়ো করে রিস্ক নিতে রাজি নই। বিশ্বের তাবড় টেকনিক্যাল পার্সনদের নিয়ে এই প্রকল্পের সার্ভে করিয়ে তবেই তা বাস্তবায়িত হবে। বাংলার মুকুটে এটি একটি স্বর্ণালঙ্কার তাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment