শীতকালিন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে ডেকেছে কংগ্রেস। সেই বৈঠকে তৃণমূলের তরফ থেকে কেউ হাজির থাকছেন না। এ দিকে, সোমবারই কালীঘাটে বসছে তৃণমূলের কার্যনিবাহী কমিটির বৈঠক। সর্বভারতীয় স্তরে দলকে প্রতিষ্ঠা করতে আজকের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ দিনের বৈঠকে কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও অন্য রাজ্যের যে সমস্ত নেতারা তৃণমূলে যোগদান করেছেন, তাঁরাও উপস্থিত থাকতে পারেন।
সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেই হবে সেই বৈঠক। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কমিটির ২১ জন সদস্যকেই ডাকা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জাতীয় স্তরে রাজনীতিতে তৃণমূলের কী লক্ষ্য হবে, এই বৈঠকেই তা মূলত স্থির করা হবে। চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে বিরোধী জোটের অন্য়তম মুখ হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল।
পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের দারুণ ফলের পর জাতীয় দল হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকট করতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল। তাই শীতকালীন অধিবেশন দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, ত্রিপুরা, গোয়া, মহারাষ্ট্র বা হরিয়ানায় দলীয় কার্যকলাপ নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বৈঠকের পরই মহারাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। দেখা হতে পারে উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গেও। আজকের বৈঠকেই সেই সফরের কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
সম্প্রতিই তৃণমূলে একাধিক নতুন মুখের দেখা মিলেছে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো থেকে শুরু করে অসমের প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব, অনেকেই যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি। গত সপ্তাহেই ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদ ও প্রাক্তন জেডি(ইউ) নোতা পবন বর্মাও। এদের মধ্যে লুইজিনহো ফালেইরো ও সুস্মিতা দেব রাজ্য়সভার সাংসদ পদ পেয়েছেন, ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হয়েছেন লুইজিনহো। আগামিকালের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই নতুন মুখদেরও দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আজই কংগ্রেস বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছে দিল্লিতে। সেখানে তৃণমূল হাজির থাকছে না বলেই আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে তৃণমূল উপস্থিত থাকবে না সোমবার। সেই মতো সোমবারের বিরোধীদের বৈঠকে দেখা গেল না তৃণমূল নেতাদের।
তবে জানা যাচ্ছে, এই বিষয় নিয়ে তৎপর হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। এমনকি তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলারও নির্দেশ দেন সোনিয়া। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সমস্ত বিরোধীদলগুলির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যই মূলত সোমবার বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস।
Be the first to comment