বাংলায় এলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মোদি-শাহর কড়া সমালোচক প্রবীণ নেতা সুব্রহ্মণ্য়মের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। কিন্তু জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি কংগ্রেস থেকে বিজেপি ঘুরে এবার কি তৃণমূলের পথে বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ?
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষেই তাঁর বাংলায় আসার কথা ছিল। তিনি নিজেই টুইট করে এমনটা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি রাজ্যে না এলেও অবশেষে বৃহস্পতিবার বাংলায় পা রাখলেন তিনি। বরাবরই তৃণমূল নেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাকে। এদিনের বৈঠকের পর তাই তাঁর ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
বরাবরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচক প্রবীণ সুব্রহ্মণ্যম। বিশেষ করে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে ক্রমাগতই সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত এপ্রিলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, দেশের অর্থনীতি থেকে জাতীয় নিরাপত্তা সবক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ”গত ৮ বছরে আমরা দেখেছি মোদি আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যপূরণ করতে পারেননি। বরং ২০১৬ সাল থেকে বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করেছে। জাতীয় নিরাপত্তাও ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। মোদি চিন সম্পর্কেও অজ্ঞ। সামলে ওঠার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কীভাবে, সেটা কি উনি জানেন?”
কেন বারবার এভাবে মোদি বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে? আসলে দু’বার মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেলেও মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। সমালোচকদের দাবি, সেই কারণেই তিনি এভাবে সরব কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এর আগেও পছন্দের মন্ত্রক না পেয়ে সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। গত বছর দলের জাতীয় কার্যসমিতির কমিটি থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে ‘বিদ্রোহী’ সুব্রহ্মণ্যমকে। তারপর থেকেই বিরোধিতার সুর আরও চড়িয়েছেন তিনি।
Be the first to comment