করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রের কাছে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থসাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই অর্থ সাহায্য আসছিল না কিছুতেই। অবশেষে দেশে যখন করোনা নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি, তখন রাজ্যের জন্য সেই বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণবাবদ ১০৯০.৬৮ কোটি টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও ইতোমধ্যেই করোনার জন্য ১৫০০০ কোটি টাকার স্বাস্থ্য তহবিল তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার। তবে, শুধু বাংলাকে নয়, সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, বিহারের মতো রাজ্যকেও এই অর্থ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যদিও এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের থেকে যে বিপুল পরিমান টাকা কেন্দ্র সরকার প্রতি বছর সংগ্রহ করে, সেই টাকা মকুব করার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও কেন্দ্রের কাছে সেই দাবি জানাতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। রাজ্যের জন্য অবশ্য তিনি ২০০ কোটি টাকার ফান্ডও গড়েছেন। শুধু তাই নয়, নাগরিকদের সাহায্য চেয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলও দিয়েছেন তিনি।
এদিনও নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, ‘আমাগী ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। সামাজিক পেনশনে ২ মাসের টাকা অগ্রিম দেওয়া হচ্ছে। সব জেলা আধিকারিকদের বলা হয়েছে মানবিক ভাবে কাজ করার জন্য। মানুষের সমস্যা হলে দেখে নিতে হবে। পুলিশের কিছু কাজ আমাদের ভালো লেগেছে, কিন্তু কিছু কাজ ভালো লাগেনি। সেই ধরনের কাজের জন্য কয়েকটি কেস এসেছে, সেখানে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। সব ধর্মীয় সংস্থাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাই নিয়ম মেনে চলেন।’
অপরদিকে, করোনাভাইরাসের জেরে আক্রান্ত ভারতীয় অর্থনীতিকে ICU-তে প্রবেশ করা থেকে বাঁচাতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ১.৭ লাখ কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এছাড়়াও চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য-সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষের জন্য আগামী ৩ মাস মাথাপিছু ৫০ লাখের বিমা ঘোষণা করা হয়েছে।
Be the first to comment