করোনা মোকাবিলায় অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে ২৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দিক কেন্দ্র, এই মর্মেই বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা ৩৬০০০ কোটি টাকা শীঘ্রই দেওয়ার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের মাইনে দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত সামাজিক প্রকল্পের কাজ নিজের টাকাতেই করছে। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের কর বাবদ আয় কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা।
মমতা লিখেছেন, ‘লকডাউনের জেরে অন্যান্য রাজ্যের মতো আমরাও অর্থনৈতিক নিরিখে সমস্যায় রয়েছি। রাজস্ব আদায় বন্ধ। রাজ্যে ব্যবসা হচ্ছে না। এর মধ্যে থেকেও সরকার কর্মচারীদের বেতন ও পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্য যখন সরকারি কর্মীদের বেতন কমাচ্ছে, সেখানে এখনও এ রাজ্য সেই পথে হাঁটেনি। রাজ্যের ৩৬ হাজার কোটি টাকা পাওনাও রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘গোটা দেশেই করোনা পরিস্থিতি ঘোরাল হচ্ছে। এই সময় পাওনা টাকা পেলে তা নানা খাতে খরচ করা যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রের কাছে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থসাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই অর্থ সাহায্য আসছিল না কিছুতেই। অবশেষে দেশে যখন করোনা নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি, তখন রাজ্যের জন্য সেই বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণবাবদ ১০৯০.৬৮ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে ইতোমধ্যেই করোনার জন্য ১৫০০০ কোটি টাকার স্বাস্থ্য তহবিল তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার। তবে, শুধু বাংলাকে নয়, সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, বিহারের মতো রাজ্যকেও এই অর্থ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অর্থ সাহায্য পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের থেকে যে বিপুল পরিমান টাকা কেন্দ্র সরকার প্রতি বছর সংগ্রহ করে, সেই টাকা মকুব করার কথাও বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও কেন্দ্রের কাছে সেই দাবি জানাতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। রাজ্যের জন্য অবশ্য তিনি ২০০ কোটি টাকার ফান্ডও গড়েছেন। শুধু তাই নয়, নাগরিকদের সাহায্য চেয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলও দিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment