পুজোয় বাস চলবে না টালা ব্রিজেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

পুজোয় বন্ধ থাকছে টালা ব্রিজ, পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত মতই চলবে শুধু ছোট গাড়ি, বাস এবং লরি চলাচলে জারি থাকছে নিষেধাজ্ঞা, মঙ্গলবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পরে ১২ অক্টোবর টালা ব্রিজ নিয়ে ফের আরেক প্রস্থ বৈঠকের কথাও এদিন ঘোষণা করেন তিনি। আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্তমন্ত্রী, পুরমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি এদিন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়া রেলের আধিকারিকদেরও ডাকা হয়েছিল এই বৈঠকে। এদিন মূলত সমাধান সূত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। টালা ব্রিজে বাস লরি বন্ধ রাখার সোমবারই যানজটে তুমুল নাকাল হয়েছে কলকাতার উত্তর প্রান্ত। এরপরই পুজো পর্যন্ত ব্রিজের ওপর দিয়ে বাস চালানো যায় কিনা সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছিল প্রশাসন। কিন্তু নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শেষ পর্যন্ত কেবল ছোট গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল রাজ্য সরকার।

উল্লেখ্য, টালা ব্রিজ নিয়ে নবান্নে মখ্যসচিবের নেতৃত্বে দু’দিনে দু’দফায় বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সেতু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও রাইটসের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আপাতত টালা ব্রিজ তিন টন পর্যন্ত ওজন বহনে সক্ষম। তাই গতি কমিয়ে কেবল ছোটগাড়ি যাতায়াতেরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাজ্যের বন্যা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডিভিসি জল ছাড়ার কারণেই মালদা, মুর্শিদাবাদ ও হাওড়া জেলার কিছু অংশে বন‍্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা কী করে সামাল দেওয়া যায়, তা আলোচনা করার জন্য এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য একটি মনিটরিং টিমও তৈরি করা হয়েছে। মমতা বলেন, বাংলা অনেকটা নৌকার মতো। নেপালে বৃষ্টি হলে, ভুটানে বৃষ্টি হলে, ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হলে, সব জল এখানে চলে আসে। আমাদের এখানে বন‍্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি জল নিকাশির ব্যবস্থা করে না, ফলে ভুগতে হয় আমাদের। বন্যা নিয়ে একটা মনিটরিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যারা রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখবে। যেখানে সব দফতরের প্রতিনিধিরা থাকবেন। মন্ত্রীদের এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তারা সেইমতো এলাকায় নজর রাখবেন।

আপাতত হাওড়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরুপ রায়, হুগলিতে ববি হাকিম, মালদায় জাভেদ খান ও গোলাম রব্বানি, মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারী ও গোলাম রব্বানি এবং মেদিনীপুরে সুব্রত মুখার্জি ও শুভেন্দু অধিকারী বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। মমতার দাবি, এ রাজ্যে বেশি বৃষ্টির জন্য বন্যা হয় এমনটা নয়। কিন্তু অন্য রাজ্যের অতিবৃষ্টি এবং তার জেরে বেশি বৃষ্টির জল ছাড়ার কারণেই এখানে বন্যা হয়।

পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেন আপনারা এগুলো একটু বেশি করে টিভিতে দেখান। এছাড়াও এদিন এনআরসি ইস্যুতে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বলেন চিন্তার কোনও কারন নেই। বাংলায় এনআরসি হবে না। পাশাপাশি এদিন রাজ্যবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

শুনুন!

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*