রাজ্য সরকার চলতি মরসুমে কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ১৭৫০ টাকা সহায়ক মুল্যে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। নবান্নে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পৌরহিত্যে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কৃষকরা যে পরিমান ধান বিক্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন তার পুরোটাই কিনে নিতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্নে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী ফড়েদের দৌরাত্ম কড়া হাতে দমন করতে মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে মুখ্যসচিব মলয় দে জানিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমরা চাই চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে। ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে চাই আমরা। ৫৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা। কৃষকদের মাঝে কিছু লোক ঢুকে যায় তার ফলে ধান কেনা সমস্যা হয়। সেটা করতে দেবো না আমরা চাই চাষিরা নিজে ধান বিক্রি করুক নিজেরাই টাকা পাক। সঙ্গে সঙ্গে যাতে তারা টাকা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ধান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেক দিয়ে দেওয়া হবে কৃষকদের। ধান কেনার জন্য দু’হাজার সেন্টার বাড়াচ্ছি আমরা।
কৃষকেরা যাতে কোনভাবেই ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত না হয় তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসন ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।ফড়েদের দৌরাত্ম রুখতে ধান সংগ্রহ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন।
চলতি মরসুমেই সারা রাজ্যে এধরনের ২ হাজার কেন্দ্র খোলা হবে। এদিকে এবছর ফসলের দাম সরাসরি অকাউন্টে দেওয়ার বদলে চেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত জটিলতা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন।
এদিকে ধান সংগ্রহের অগ্রগতি নিয়ে জেলা থেকে পাওয়া রিপোর্টে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আজকের বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আশিস ব্যানার্জী , খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ,সমবায় মন্ত্রী অরুপ রায় ,মুখ্য সচিব , স্বরাষ্ট্র সচিব কৃষি সচিব, খাদ্য সচিব সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কী বললেন শুনুন-
Be the first to comment