ভিডিও সৌজন্যে- (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক)
উত্তম কুমার একটা নাম। ২০১১ সাল থেকে আমরা এই দিনটি পালন করি। যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। সকাল, বিকেল, দুপুর, সন্ধ্যা জড়িয়ে আছে। এসব ভুললে তাঁদের অবদানও ভুলে যাবো। এটা করতে করতে এগিয়ে যেতে হবে। বুধবার মহানায়ক উত্তমকুমারের স্মরণে নজরুল মঞ্চে চলচ্চিত্র সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি আরও বলেন, সবাইকে এঁদের সম্পর্কে জানাতে হবে, নাহলে মানুষ এঁদের সম্পর্কে ভুলে যাবে। মমতা বলেন, ৩২ কোটি টাকা খরচ করে টেকনিশিয়ান স্টুডিও করে দিয়েছি। ১৩২ কোটি টাকা খরচ করে বারুইপুরে টেলি অ্যাকাডেমি করছি। ইলেকট্রিক্যাল কাজকর্ম যা বাকি আছে তা পিডব্লুডি করে দেবে।
এছাড়া এদিন সঙ্গীতশিল্পীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বলেন, নির্মলা দি অসুস্থ না হলে আজকের অনুষ্ঠানে নিশ্চয় আসতেন। সুপ্রিয়াদিরও অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু বাঙালীরা এরকম তাদের বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না। এবছর কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ২৫ বছর হচ্ছে, সবাইকে আমন্ত্রণ জানালাম। সবাই মিলে অনুষ্ঠানটি ভালো ভাবে করতে হবে। মমতা আরও বলেন, সবাইকে সম্মান দিয়ে আমরা যেন স্বপ্নের ভোর দেখতে পাই।
প্রসঙ্গত, আজই গণপিটুনি ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিশিষ্টদের সঙ্গে তিনি একমত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, আমি ওঁদের সঙ্গে একেবারে একমত। ওঁদের আমি সম্মান করি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া তাঁদের অধিকার। যখনই দেশের প্রয়োজন হয়েছে, চেতনার প্রয়োজন হয়েছে, বিশিষ্টরা এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের অনুপ্রেরণা আমাদের প্রাণবন্ত করে। একটা ভাষণে যা কাজ হয় তার থেকে একটা গানে বেশি কাজ হয়। আমি কোনও ধর্মের, কোনও স্লোগানের বিরুদ্ধে নয়। সবাইকে সম্মান করি। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবাই সবাইকে ভালোবাসুক এটাই চাই। আমি পাঞ্জাবি, গুজরাটি, বিহারি সবাইকে রেসপেক্ট করি। ছোট থেকে এটাই শিখেছি। উই আর ফর অল। উই মাস্ট লাভ ইচ আদার। সারে জাহা সে আচ্ছা।
এদিন মহানায়ক সম্মানে কারা কারা সম্মানিত হলেন দেখে নিন একনজরে-
এদিন কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
শুনুন!
দেখুন ছবি-
Be the first to comment