হাতে মাত্র আর কয়েকটা ঘণ্টা। রাত পোহালেই মহারণ নন্দীগ্রামে। এর আগে নানা হাইভোল্টেজ ভোট দেখেছে নন্দীগ্রাম। কিন্তু এবারের ভোট একেবারেই নজিরবিহীন। কারণ প্রধান দুই প্রতিপক্ষের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।
শেষ বেলার প্রচারে ঝড় তুলেছিল দু’পক্ষই। শুভেন্দুকে জেতাতে নন্দীগ্রামের পথে নেমেছিলেন অমিত শাহ, মিঠুন চক্রবর্তীরা। অপরদিকে, নিজের ক্যারিশমা দিয়েই ভোটে জেতার লড়াই চালাচ্ছেন মমতা। কিন্তু ভোটের আগেরদিনই নন্দীগ্রাম নিয়ে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রামে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানালেন মমতা।
তাঁর অভিযোগ, ‘বহিরাগতরা নন্দীগ্রামে ঢুকছে৷ নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করা হোক। গোকুলনগর, বয়াল, বলরামপুরে বহিরাগত ঢুকছে৷ বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে অশান্তি করেছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
ভোটের আগের দিন সকাল থেকেই তেখালি থেকে রেয়াপাড়া, বয়াল থেকে টেঙ্গুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। সকাল থেকে চারপাশে চোখ ফেরালেই দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। নন্দীগ্রাম নিয়ে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। তাঁদের আচরণ নিয়েও নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শাসক দল।
এদিকে ভোটের আগের দিনই নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ গ্রামে। বিজেপি কর্মী সৌরভ আচার্যর দাবি, গতকাল রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। হামলার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে বিজেপির দাবি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের আকাশপথে হেলিকপ্টার থেকে চালানো হচ্ছে নজরদারি। নন্দীগ্রামের প্রবেশপথে চলছে নাকা চেকিং। নন্দীগ্রামে বারবার বহিরাগত আগমনের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু ভোটের আগের দিন তাঁর সেই অভিযোগ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শুধু নন্দীগ্রামের জন্য ৩৫৫ বুথে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। সব বুথকেই স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র দুহাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে নন্দীগ্রামের জন্য। বুধবার সকাল থেকেই অবশ্য দেখা গেল, কোথাও বিএসএফ, কোথাও সিআরপিএফ রুট মার্চ করছে।
Be the first to comment