তিনি হেরেছেন, কিন্তু তৃতীয় বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে নিজের কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গেলেও গোটা রাজ্যে তৃণমূলকে জিতিয়ে এনেছেন তিনিই। ফলে স্বাভাবিক কারণেই খুশির জোয়ারে ভাসছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু সেই খুশি এখন দেখানোর জো নেই। করোনার করাল গ্রাসে ভুগছে রাজ্য।
রবিবারই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখন প্রথম কাজ করোনা মোকাবিলা। সেই সূত্রেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা, এবারের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল ঘটাতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। ‘বিশ্বাসযোগ্য’ বিধায়ক, নতুন ও নবীন মুখের সমাহার দেখা যেতে পারে মমতার এবারের মন্ত্রীসভায়।
সোমবারই দলের জয়ী ও পরাজিত সকল প্রার্থী নিয়েই বৈঠকে বসছেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন বিকেলের ওই বৈঠক থেকেই তিনি আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে বার্তা দেবেন দলকে। তৃণমূল সুত্রে খবর, এদিন তৃণমূল ভবনের বৈঠকে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলার নির্বাচিত বিধায়করা যোগ দেবেন। বাকিরা অংশগ্রহণ করবেন ভার্চুয়ালভাবেই। এরপরই সন্ধ্যে সাতটায় প্রথামাফিক মমতা রাজভবনে যাবেন সরকার গড়ার দাবি জানাতে। সূত্রের খবর, আগামী ৭ মে শপথ নিতে পারেন মমতা ও তাঁর বাকি মন্ত্রীসভা।
যদিও অনেকের ধারনা, এদিনের বৈঠকেই আগামী মন্ত্রীসভা সম্পর্কে আভাস দিতে পারেন মমতা। নির্বাচনে এবার একাধিক নতুন মুখকে টিকিট দিয়েছিলেন নেত্রী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই জয়ী হয়ে এসেছেন। নব নির্বাচিতদের সেই বিধায়কদের অনেকেই তৃণমূলের তৃতীয় সরকারের মন্ত্রী হতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। এমনকী টালিগঞ্জের যেসব তারকার জিতে এসেছেন তৃণমূলের হয়ে, তাঁদের কেউ কেউ জায়গা পেতে পারেন মন্ত্রীসভায়।
বিপুল জয়ের পরও মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে বলছেন, মাস্ক পরার কথা। এমনকী জানিয়ে দিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির জেরে এবার ছোট করেই রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। এমনকী মমতার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশের বিরোধীদের কোনও নেতাই প্রায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন না। তবু, বাংলা তথা গোটা দেশের মানুষ চেয়ে আছেন মমতার শপথগ্রহণ ও নতুন মন্ত্রিসভার মুখ দেখতে।
Be the first to comment