মঙ্গলবার দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে প্রথমে জিএনএলএফ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতি মন ঘিসিং ও মুখপাত্র নিরোজ জিম্বার নেতৃত্বে জিএনএলএফ-এর একটি প্রতিনিধি দল এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে জিএনএলএফ-এর তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একটি স্মারকলিপিও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ-এর প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং, ভাইস চেয়ারম্যান অনিত থাপা সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর বিনয় তামাং ও অনিত থাপার সঙ্গে পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও লোকসভা ভোট নিয়ে আলোচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর।
অন্যদিকে লালকুঠি চত্বরে গান্ধি রোডের বেহাল অবস্থা দেখে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই জিটিএ-কে দ্রুত রাস্তা সারাই ও সৌন্দর্যায়নের নির্দেশ দেন তিনি। এদিন লালকুঠি চত্বর পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লালকুঠি চত্বরে গান্ধী রোডের বেহাল দশা দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। শুধু রাস্তা নয়, গান্ধী রোডে পর্যটকদের বসার জায়গারও উন্নয়ন না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এরজন্য জিটিএ সেক্রেটারিকে ধমকও দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, তিন মাস পর ফের পাহাড় সফরে আসবেন তিনি। লালকুঠি নিয়ে কাজ কতদূর এগোল, তখনই জিটিএর থেকে রিপোর্ট নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment