এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কোন কোন জেলায় ফল ভাল হয়নি তার তালিকা নিয়ে বসেন দলনেত্রী। সেখানেই ঠিক হয়, এবার থেকে আর কোনও জেলা সভাপতি মন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না। তৃণমূল ভবনে এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে বলেন, ‘দলে এক ব্যক্তি এক পদ চালু হবে। জেলা সভাপতিরা আর কোনও মন্ত্রী পদে থাকবেন না। একমাসের মধ্যে জেলা ও ব্লকস্তরে সংগঠনে রদবদল করা হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট তলব করা হবে।’ পুরনো যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁরাও সম্মান পাবেন বলে জানিয়েছেন নেত্রী।
এদিকে কাকলি ঘোষদস্তিদারকে মহিলা মোর্চার নতুন সভাপতি করা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কল্যাণী, ও মহুয়া মৈত্র রানাঘাট শহরকে সাজিয়ে তুলবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। ব্রাত্য বসু এবং পার্থ শিক্ষা সেলগুলি পুর্নগঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর নির্দেশ, দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে কেউ রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করবেন না। ফেসবুক, টুইটার আছে বলে যা খুশি লিখবেন না। জেলার বিধায়কদের কাছে দল টাকা চায় না। সুতরাং গাড়িতে লালবাতি লাগিয়ে কেউ ঘুরবেন না। না হলে দলের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে যারা মন্ত্রীর পাশাপাশি জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন তাঁদের সেই পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বলে সূত্রের খবর। নেতা–মন্ত্রীদের মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। মমতা কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘ত্রাণ বণ্টনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।’ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের যখন তখন ফেসবুক লাইভের ক্ষেত্রে রাশ টেনেছে দল।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের যুব সভাপতি পদে সায়নী ঘোষ। বিভিন্ন জেলাকে একাধিক অংশে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফেসবুক লাইভ করার জন্য মদন মিত্রকে তিরস্কার করেন তৃণমূলনেত্রী। শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র সভাপতি করা হয়েছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই একই শাখার জাতীয় সভানেত্রী করা হয়েছে দোলা সেনকে। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে। কৃষক সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে পূর্ণেন্দু বসুকে।
Be the first to comment