তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যাবতীয় গুঞ্জনে ইতি টানলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সাফ জানিয়ে দিলেন, মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে কোনও অবনতি হয়নি। আগের মতোই আছে। এই নিয়ে যাবতীয় যা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সবটাই সংবাদমাধ্যমের তৈরি।
সম্প্রতি প্রশান্তের সংস্থা আই-প্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কমবেশি বিভ্রান্তি রয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। বিশেষ করে রাজ্যের ১০৮ পুরসভার প্রার্থী ঘোষণার সময় সেই বিভ্রান্তি চরম আকার নেয়। এমনকী, বিভ্রান্তির জেরে তৃণমূলের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে ভ্রান্ত প্রার্থী তালিকাও আপলোড হয়। আবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল নেতারা আই-প্যাকের কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রাকশ্যেও মুখ খুলেছেন। যদিও এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বা প্রশান্ত কিশোর কোনও পক্ষই এ নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেনি।
এই প্রথমবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। এক সাক্ষাৎকারে ভোটকুশলী জানিয়েছেন, “এই ধরনের খবর দেখলে আমার হাসি পায়। আমার সঙ্গে দিদির সম্পর্ক যেমন ছিল, তেমনই আছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে তো কিছু করতে হবে, তাই হয়তো এসব বলছে।” পিকের বক্তব্য,”কখনও বলা হচ্ছে দিদি আর আমার মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, কখনও বলা হচ্ছে মমতা এবং অভিষেকের সম্পর্কে সমস্যা আছে। আবার কখনও বলা হচ্ছে অভিষেক এবং আমার সঙ্গে দিদির সমস্যা আছে।” কিন্তু এসবের কোনও কিছুই সত্যি নয় বলে দাবি প্রশান্ত কিশোরের।
পিকের অভিযোগ, ২০১৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গে চুক্তির পর থেকেই তাঁকে এবং আই-প্যাককে টার্গেট করছে সংবাদমাধ্যম। একটা সময় তৃণমূলের নেতারা পরপর দল ছাড়া নিয়েও নিশানা করা হয়েছিল আই-প্যাককে। ভোটের ফলাফলই সেসব অভিযোগের জবাব দিয়ে দিয়েছে। ভোটকুশলী বলছেন, মমতা হোক, নীতীশ কুমার হোক বা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, যাঁদের সঙ্গে গত ১০ বছর তিনি কাজ করেছেন, তাদের কারও সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়নি।
Be the first to comment