রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই বিকল্প জোটের ইঙ্গিত তৃণমূলের, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা

Spread the love

গোটা দেশে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য মিলিয়ে বিধায়ক সংখ্যা ৪,১২৮। বিজেপির বিধায়ক ১,৩০৬। তার মধ্যে ৮২৬টি গোবলয়ে অর্থাৎ, বিরোধী শিবির একজোট হলে রাষ্ট্রপতি ভোটে বিজেপির প্রার্থী বিপদের মুখে পড়তে পারেন। এই তথ্য সামনে এনে বিকল্প জোটের ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেছেন, এত আনন্দ করে লাভ নেই। সামনে রাষ্ট্রপতি ভোট আসছে, বুঝতে পারবেন। আমাদের সহযোগিতা না করলে বৈতরণী পার হতে পারবেন না। বিরোধীরা একজোট হলে বিজেপি হেরে যাবে। ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি থাকবেন, না কি অন্য কাউকে বিজেপি প্রার্থী করবে তা স্পষ্ট না হলেও মমতার বক্তব্য এদিন ইঙ্গিতবাহী। মনে করা হচ্ছে, এই ভোটকে সামনে রেখেই ২০২৪-এর সলতে পাকানো শুরু করতে পারে বিরোধী শিবির। তৃণমূলের পক্ষে প্রায় ২২০ বিধায়ক ও ৩৫-এর বেশি সাংসদ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের পাশাপাশি বিধায়করাও ভোট দেন।

বুধবার রাজ্য বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র বাজেট পেশ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ছাড়াও বিরোধীদের জবাব দেন মমতা। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জেতার পর বিধানসভা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মমতা এদিন বলেন, বিজেপি ম্যানুপুলেশন করে জিতেছে। তা সত্ত্বেও ৭০টি আসন বেশি পেয়েছে অখিলেশ। বিজেপির কমেছে ৫৪টি। ভোটও বেড়েছে অখিলেশের। রাজ্যের পুরভোটে ছাপ্পার অভিযোগ উড়িয়ে মমতার ব্যাখ্যা, বিজেপি শাসিত রাজ্যেও স্থানীয় ভোটে ৯০ শতাংশের বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। তাহলে সেগুলোও ছাপ্পা?

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, মমতা যে বিরোধী ঐক্যের কথা বলছেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের তরফে এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। হাত শিবির এখনও নিজেদের কোন্দল সামলাতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যদি আগেভাগে বিরোধী জোট তৈরিতে উদ্যোগী হয়, তাহলে বিরোধী শিবিরের নেতা হওয়ার দৌড়ে আরও এগিয়ে যাবে তৃণমূল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*