পিয়ালি আচার্য,
১০০ দিনের কাজ নারেগা প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী, বলেন কেন্দ্রেও নির্বাচিত সরকার আছে, রাজ্যেও নির্বাচিত সরকার আছে। কেন্দ্রের কাজ কী রাজ্যের ভালো করা নাকি রাজ্যে ডিস্টারবেন্স তৈরি করা, আগুন লাগিয়ে দেওয়া? ১০০ দিনের কাজে যে আড়াই হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র বাকি রেখেছে সেটা প্রয়োজনে আমরাই দিয়ে দেব। এরপর তাঁর বহুদিনের দাবির কথা আবারও একবার গঙ্গাসাগরের এই পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা হল পররাষ্ট্র, অর্থ এবং প্রতিরক্ষা এই ৩টি দফতর ছাড়া বাকি সব রাজ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক। তারপর এক একটি দফতর ধরে ধরে তিনি বলেন, সব রাজ্য দেবে আর কেন্দ্র তুমি দালালি করবে? ভাত দেওয়ার সামর্থ্য নেই, কিল মারার গোঁসাই। আমি ও রোজ ঠাকুর পুজো করে বাড়ি থেকে বেরোই কিন্তু অন্য ধর্মকে অসম্মান করার শিক্ষা আমাকে আমার বাবা- মা দেননি।
জ্ঞানদাস মোহন্ত বলেছেন, আমাদের দেশকে কখনও ভাগ করা যাবে না। মানুষকে ভালবাসতে শিখুন। দেশজুড়ে অসহায় অবস্থা। এমন করছেন যেন মা দুর্গা, মা কালি আপনাদের জন্ম দেন নি আপনারাই ওদের জন্ম দিয়েছেন। আমি ছোটবেলায় গ্রামে যেতাম। বহু শহুরে মানুষের গ্রামে ঠিকানা আছে। পরীক্ষার পর গ্রামে যেতাম, নবান্ন উৎসব হতো। পিঠে পায়েস হতো এটা চিরকালীন, চিরদিনের। আমাদের এখানে স্বামীজি, রামকৃষ্ণ জন্মেছেন কতদিন আগে। কোরান, পুরান, বেদ-বেদান্ত, বাইবেল, ত্রিপিটক আমাদের এখানে কতদিন আগে হয়েছে। আর এরা সব আজকের যোগী, যোগী তো নয়, আজকের ভোগী। এরা কে হরিদাস? আমরা সব পুজো করি, সব দেবতাকে সম্মান জানাই। এখানেই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন পাঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাত, মারাঠা, দ্রাবিড়, উৎকল বঙ্গের এক হওয়ার কথা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বেশীরভাগ বক্তব্য জুড়ে ছিল মানবতা ও সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা।
Be the first to comment