নাকা চেকিং বাড়ান, কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়ি দেখিয়ে কেউ কেউ টাকা পাচার করছেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

নবান্ন জয়ের লক্ষ্যে চমকপ্রদ ইশতেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। চাকরিতে মহিলাদের ৩৩% সংক্ষণ, গণপরিবহণে বিনামূল্যে যাত্রা থেকে শুরু করে সপ্তম বেতন কমিশন চালু, একের পর এক অত্যাশ্চর্য প্রতিশ্রুতিতে শোরগোল ফেলেছে গেরুয়া শিবির।

এবার বিজেপির সেই ইশতেহারকেই নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি পুরুলিয়াতে সভা করে পুরো অঞ্চল পালটে দেওয়ার দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সেই পুরুলিয়া থেকেই মমতা বলেন, ‘ত্রিপুরা, অসমের ইশতেহার দেখুন বিজেপির। সেখানে সবাইকে স্থায়ী কর্মী করবে বলেছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি।

ইশতেহারে ওরা যা বলবে, করবে না, এখন বাংলায় এসে শুধুই মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে। বিজেপিতে মেয়েদের কোনও সন্মান নেই। মিথ্যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা দেবে, দিয়েছ? বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা বিশ্বাসঘাতকের দল। দানব, দৈত্য, রাবণ, থেকে সাবধান।’

এখানেই শেষ নয়, বরং বিজেপির নির্বাচন জিততে কারসাজিও রয়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এটা দিল্লির সরকার নয়। আপনারা জানেন, এর আগের বার পুরুলিয়ার সাংসদ জিতেছিল, কিন্তু সে পালিয়ে গেল। ঝাড়গ্রামের প্রার্থী বলছে, ভোটের আগের দিন আসিস, টাকা দিয়ে দেব। নির্বাচনের আগে টাকা দিয়ে বলবে, বিজেপিকে ভোট দে। এটা কিন্তু ওদের টাকা নয়, সাধারণ মানুষের টাকা। কোটি-কোটি টাকা ওরা চুরি করেছে, এই টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। ভোট মিটলেই দেখবেন সব পালাবে। আর আসবে না। তার আগে মানুষে-মানুষে ভেদ তৈরি করবে।

কিন্তু মনে রাখবেন, আমরা মা দুর্গাকে ভালবাসি। হিন্দু-মুসলমান করবেন না। হাতা-খুন্তি নিয়ে তৈরি থাকুন, খেলা হবে।’

মঙ্গলবারই গোসাবার সভা থেকে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আমফানের টাকা লুঠের অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরুলিয়া থেকে সেই জবাব ফিরিয়েছেন মমতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন, ‘অমিত শাহ হাবদা গোবদা মন্ত্রী। হোদল কুতকুত মন্ত্রী। কোথায় ছিল এতদিন? পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা টাকাও দেয়নি। গোসাবায় বলেছে আমফানে নাকি আমি টাকা দিইনি। একটা কাঁচাকলাও আমাদের সাহায্য করেনি।’

এদিন ফের পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে আর্জি জানিয়েছেন মমতা। বলেন, ‘নাকা চেকিং বাড়ান। কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়ি দেখিয়ে কেউ কেউ টাকা পাচার করছে। এখানকার কর্মীদের বলছি, ভোটের মেশিন ভাল করে পরীক্ষা করবেন। রাজ্য পুলিশ যদি নির্বাচন কমিশনের আওতায় হলে দিল্লির পুলিশকেও আওতায় আনতে হবে। ভোটের মেশিনকে পাহারা দিতে হবে।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*