রাহুল গান্ধিই কি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মুখ? সরাসরি প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিল্লিতে তাঁর সংযমী প্রতিক্রিয়া, “আগে সেটা হোক। আগে বিজেপিকে হারাই। তারপরে আমরা বসে ঠিক করব।” ভোটের ফলের আগে বিরোধীরা যে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর নাম জানাবে না, তেমনই ইংগিত রয়েছে তাঁর কথায়। বিরোধীদের একজোট করার ক্ষেত্রে তিনিই কি প্রধান ভূমিকায়? মমতার জবাব, “সবার সঙ্গেই আমি ভালো সম্পর্ক রাখি। এটাই পরম্পরা। একটা সৌজন্য। সবার সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি খুশি।” তাঁর কথায়, “২০১৯ সালের ভোটে বিজেপিকে হারাতে যৌথ নেতৃত্ব কাজ করবে।”
উল্লেখ্য, আগেই কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল, মমতা কিংবা মায়াবতী কাউকে নিয়েই তাদের কোনও আপত্তি নেই। শুধু প্রধানমন্ত্রী যেন বিজেপি বা আরএসএসের কেউ না হন। এদিন দিনভর রাজধানীতে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। তিনদিনের সফরে কথা বলেন লালকৃষ্ণ আদবানি থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের সঙ্গে। সন্ধেয় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গন্ধির সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মত, ২০১৯ সালের আগে নিজেকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন তিনি। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে বিরোধীদের মহা সমাবেশের আগে তাঁর তৎপরতা সেটাই মনে করাচ্ছে।
বুধবারও দিল্লিতে অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মুখর হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, যারা বিজেপিকে ভোট দেবে না বলে মনে করা হচ্ছে, তাদেরই নাগরিক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশ শুধু সীমানা ভাগাভাগিই করে না, ভাষা সংস্কৃতিও দুই প্রতিবেশির এক। অনবরত বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে। তাছাড়া, সীমান্ত পাহারারা দায়িত্ব তো কেন্দ্রেরই।
Be the first to comment