দিল্লি দখলের সেমিফাইনালের ফল প্রকাশের দিন দিল্লিতেই ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নরেন্দ্র মোদীর নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে বললেন, “কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। বিজেপি-র শেষের সূচনা।”
সোমবার, সংসদের অ্যানেক্স হলে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতানেত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তেলেগু দেশম পার্টির সভাপতি তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছেন দিদি। মঙ্গলবারও রয়েছেন রাজধানীতেই। ১৮১ নম্বর সাউথ অ্যাভিনিউয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ বাংলোতেই উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন গণনার শুরু থেকেই চোখ রেখেছিলেন সংবাদ মাধ্যমে। বিকেলে বাড়ির বাইরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “২০১৯-এ ফাইনাল ম্যাচ। দ্য গেম ইজ ক্লিয়ার।” অর্থাৎ দেওয়াল লিখন স্পষ্ট।
কংগ্রেসের এই সাফল্যকে ‘আমাদের সবার জয়’ বলে অভিহিত করলেন তৃণমূলনেত্রী। এ দিন মমতা বলেন, “যে যেখানে লড়াই করেছে, সে সেখানে ফল পেয়েছে। ওখানে তো কংগ্রেস ছাড়া কেউ ছিল না। আমরা তো কেউ লড়াই করিনি। আমাদের পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি জানিয়েছিলাম। ” মায়াবতীদের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “এগুলো সেই দলের ব্যাপার। আঞ্চলিক দলগুলির অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে।” পর্যবেক্ষকদের মতে, এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বৈকি। মায়াবতীদের আঞ্চলিক বলে আসলে দিদি জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে চাইলেন তৃণমূলকে। কারণ বেশ কিছু দিন ধরেই বাংলার শাসক দল, রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরে বেরোতে চাইছেন। দলের সাধারণ পরিষদের বর্ধিত বৈঠকে থেকে নেতাদের বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বও ভাগ করে দিয়েছেন।
কিন্তু কংগ্রেসের জয়কে ‘আমাদের সবার জয়’ বলার পর যে প্রশ্ন জাগে তাহলে কী হবে বাংলায়?
সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার আগেই দিদি বলেন, “জাতীয় স্তরে আমরা এক হলেও রাজ্যে আমরা এককভাবে ভোটে লড়ব। কিন্তু দিনের শেষে আমরা এককাট্টাই।”
এদিন কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
শুনুন-
Be the first to comment