এবার কি রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত? লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে উসকে গেল সেই জল্পনাই। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করতে দেখা গেল টলিউড অভিনেত্রীকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎকে নেহাত ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলছেন অভিনেত্রী।
এদিন প্রয়াত সাধন পাণ্ডের মরদেহ আনা হয়েছিল বিধানসভায়। রাজ্যের মন্ত্রীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু বিশিষ্টজন। হাজির ছিলেন রুপোলি পর্দার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাও। জানা গিয়েছে, মানিকতলার বিধায়কের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের বন্ধু স্থানীয় অভিনেত্রী। সেই সূত্রে তাঁকে শান্ত্বনা জানাতে বিধানসভায় ছিলেন ঋতুপর্ণাও।
জানা গিয়েছে, বিধানসভায় নিজের ঘরে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন ঋতুপর্ণা। দুজনের মধ্যে প্রায় ১০ মিনিট কথা হয়। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে অভিনেত্রী জানান, “আমি প্রথমবার বিদানসভায় এলাম। দিদি বললেন, ভিতরে এসে একটু দেখে যেতে। ওঁরও আজ খুব মনখারাপ। অনেকদিন পর দিদির সঙ্গে দেখা হল, তাই বসে একটু কথা হল। আমাকে উনি খুব স্নেহ করেন। বললেন, তুমি এসেছ, ভালো করেছ।” দলীয় প্রচারে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে ঋতুপর্ণা বলেন, “এনিয়ে কোনও কথা হয়নি।” মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়নি।
অভিনেত্রী রাজনীতির ময়দানে পা রাখার বিষয়টি অস্বীকার করলেও জল্পনা চলছেই। সামনেই বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অকালপ্রয়াণে এই আসনটি খালি রয়েছে। সেখানে মার্চ মাসের শুরুতেই ভোটগ্রহণ। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন ঋতুপর্ণা কিংবা তারকা প্রচারকও হতে পারেন অভিনেত্রী। যদিও এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী রাজনীতি যোগ দিয়েছেন। ভোটেও লড়েছেন তাঁরা। এবার কি সেই তালিকায় নাম লেখাবেন ‘বেগমজান’, সেটাই এখন দেখার।
Be the first to comment